মাসব্যাপী পরিকল্পনা করেই রূপালী ব্যাংকে ডাকাতির চেষ্টা
বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬:৩৯
ছবি : ফাইল ছবি
ঢাকার অদূরে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে রূপালী ব্যাংকের জিনজিরা শাখায় ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তারদের দেওয়া তথ্যের সত্যতা পায়নি পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরাও এখন স্বীকার করেছেন মৃত্যুপথযাত্রী কিডনি রোগীর বিষয়ে তাদের দেওয়া বক্তব্য ছিল বানোয়াট। ঘটনার মোড় ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করার উদ্দেশ্যেই এ কথা বলেছিলেন তারা। ব্যাংক থেকে টাকা লুটই ছিল তাদের উদ্দেশ্য।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বাংলাদেশের খবরকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ঘটনার পর কিডনি রোগীর কথা উল্লেখ করে তাদের দেওয়া বক্তব্যের সত্যতা যাচাই-বাছাই করেছে পুলিশ। এমন তথ্যের সত্যতা পাওয়া যায়নি। এ ছাড়াও পুলিশের অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদেও তারা এখন বলছেন, কিডনি রোগীর বিষয়টি ছিল বানোয়াট।’
ওসি মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘মাসখানেক আগে থেকেই তারা ব্যাংক ডাকাতির পরিকল্পনা করছিলেন। এ জন্য রুপালী ব্যাংকের ওই শাখাটি রেকিও করেন তারা।’
ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) আহম্মদ মুঈদ সাঈদ বাংলাদেশের খবরকে বলেন, ‘নিজেদের পক্ষে ডিফেন্স নেওয়ার জন্য কিডনি রোগীর কথা বলে তারা একটা সফট কর্নার তৈরি করতে চেয়েছিল। কিন্তু পুলিশের গভীর তদন্তে তার সত্যতা মেলেনি।’
তাদের মাস্টারমাইন্ড কে?- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘৫ আগস্টের আগে তাদের মাস্টার মাইন্ড খুব প্রভাবশালী ছিল। যার নাম লিয়ন ওরফে নীরব। গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার কুমুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা কবির মোল্লার ছেলে নীরব; পেশায় গাড়িচালক।’
তাদের বিষয়ে অতীতের কোনো ক্রিমিনাল ফাইল আছে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘২০২১ সালে একটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটায় নীরব। সে সময় গোপালগঞ্জের বেল্টের পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কারণে ভুক্তোভোগীরা মামলা করতে পারেননি। আপাতত আমরা এটুকুই জেনেছি তার বিষয়ে। আরও অধিকতর তদন্ত শেষে জানা যাবে।’
তিনি বলেন, ‘আরাফাত ও সিফাতকে মোটরসাইকেল ও আইফোন কিনে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তাদের এই কাজে ব্যবহার করেছে নীরব।’
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে রুপালী ব্যাংকের ওই শাখায় প্রবেশ করে দেশিয় অস্ত্র ও খেলনা পিস্তল নিয়ে গ্রাহকসহ কর্মকর্তাদের জিম্মি করে তারা। পরে ব্যাংকে ডাকাত পড়ার খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাংকটিতে অভিযানের প্রস্তুতি নেয় যৌথবাহিনী। এমন সংবাদে আত্মসমর্পণ করেন নীরবসহ তিনজন। তখন তারা কোনো এক কিডনি রোগীকে বাঁচাতেই ব্যাংক ডাকাতি করতে আসেন বলে জানান। পরে এমন তথ্যের সত্যতা যাছাই-বাছাই করে পুলিশ।
এমএমএন/এমজে