বিএনপি নেতার নেতৃত্বে রাতের আঁধারে ধান কেটে নেয়ার অভিযোগ
মাল্টিমিডিয়া করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশ: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬:৩৬
আমতলী উপজেলা বিএনপি নেতার নেতৃত্বে রাতের আঁধারে জোরপূর্বক জমির পাকা ধান কেটে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে ডালিম হাওলাদার ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে বরগুনার আমতলী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেছেন শিক্ষক মো. মনিরুজ্জামান বাবুল হাওলাদার। তিনি আরও বলেন, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব তুহিন মৃধার নেতৃত্বে ডালিম হাওলাদার ও তার সহযোগীরা এই ধান কেটে নিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শিক্ষক মনিরুজ্জামান বলেন, উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের পাতাকাটা মৌজায় পৈত্রিক ও মাতার সম্পত্তি হিসেবে ৪.৮৮ একর জমি রয়েছে। ওই জমি আমি ও আমার তিনভাই ভোগদখল করে আসছি। গত শুক্রবার রাতে ওই জমির পাকা ধান ডালিম হাওলাদার ও জুয়েল মাতুব্বরের নেতৃত্বে ২০—২৫ জন সন্ত্রাসী রাতের আঁধারে ধান কেটে নেয়। পরের দিন শনিবার সকালে বিষয়টি আমতলী থানার ওসিকে অবহিত করলে তিনি কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
তিনি আরও বলেন, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব তুহিন মৃধা আমার ভাগনে। তারই পরোক্ষ মদদে সন্ত্রাসীরা রাতের আঁধারে আমার ধান কেটে নিয়েছে। ধান নিয়েই খ্যান্ত হয়নি তারা, উল্টো আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদেরকে প্রাণনাশের হুমকিও দিচ্ছে। আমি ও আমার পরিবার জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। পুলিশ প্রশাসনকে দ্রুত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার, পাশা মিয়া হাওলাদার ও নাশির উদ্দিন হাওলাদার।
অভিযুক্ত ডালিম হাওলাদার ধান কাটা ও প্রাণ নাশের হুমকির কথা অস্বীকার করে বলেন, মনিরুজ্জামান বাবুল ও তার লোকজন ধান কেটে নিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা দায় চাপাচ্ছেন। তিনি যে ধান কেটে নিয়েছেন তার বেশ প্রমাণ আছে।
আমতলী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব তুহিন মৃধা বলেন, ওই জমি নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে পারিবারিক বিরোধ রয়েছে। কিন্তু এখানে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, এ বিষয় অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কাওসার মাদবর/এমবি