ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে পুকুরে গোসল করতে যাওয়া তিনশিশুর মধ্যে ফাতেমা খাতুন (৮) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় এক শিশুকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও নিখোঁজ রয়েছেন ১০ বছর বয়সী আরও এক শিশু। 

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার বেথুলী গ্রামের একটি পুকুরে গোসলে নামেন ওই তিনশিশু। এরমধ্যে নিখোঁজ রয়েছেন তাসনিম খাতুন (১১)। তবে জিম খাতুন (১০) নামে এক শিশুকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (সন্ধ্যা ৬টা) ফায়ার সার্ভিস কর্মী ও স্থানীয়রা জাল ফেলে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। 

মারা যাওয়া ফাতেমা খাতুন বেথুলী গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে। আর নিখোঁজ তাসমিম খাতুন (১১) উপজেলার আলাইপুর গ্রামের আব্দুল বারীর ছেলে। জীবিত উদ্ধার হওয়া জিম খাতুন বেথুলী গ্রামের মোফাজ্জেল হোসেনের মেয়ে।

স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর ১ টার দিকে ফাতেমা, তাসনিম ও জিম নামের তিনশিশু গ্রামের একটি পুকুরে গোসল করতে নামে। এ সময় তারা পানিতে ডুবে যায়। পরে স্থানীয়রা দ্রুত পুকুরে নেমে জিম নামের এক শিশুকে জীবিত উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এছাড়া ফাতেমা খাতুনের মরদেহ উদ্ধার করে। এই ঘটনায় তাসনিম নামের আর এক শিশু নিখোঁজ রয়েছেন। তাসনিম কয়েকদিন আগে নানাবাড়ি বেড়াতে এসেছেন। তাকে উদ্ধারে এখনো স্থানীয় ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা অভিযান চালাচ্ছে পুকুরটিতে।

কালীগঞ্জ ফায়ার ও সিভিল ডিফেন্স সার্ভিসের স্টেশন অফিসার শেখ মামুনুর রশিদ জানান, খবর পেয়ে তারা দ্রুত বেথুলী গ্রামের পুকুরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় উদ্ধার কাজ শুরু করেছেন। পুকুরটি অনেক গভীর। এখনো একজন নিখোঁজ রয়েছেন। ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে আসতে রওনা দিয়েছে।

কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম জানান, তিনি নিজেই ঘটনাস্থলে রয়েছেন। এখন পর্যন্ত একজনের মৃত্যু হয়েছে। একজন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। অন্য একজনকে জীবিত উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

বুরহান উদ্দীন/এমবি