সাগরপথে মালয়েশিয়া পাচারকালে নারী-শিশুসহ উদ্ধার ৬৬
টেকনাফ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮:০৪
ছবি : বাংলাদেশের খবর
কক্সবাজারের টেকনাফের উপকূলীয় এলাকা থেকে সাগরপথে মালয়েশিয়া পাচারের সময় নারী-শিশুসহ ৬৬ জনকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় পাচারকারীদের সঙ্গে জড়িত ৫ দালালকেও আটক করা হয়েছে।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের কচ্ছপিয়ার পাহাড়ি এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ দ্রুত অভিযান চালায় এবং পাচারকারীরা উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টা করলে ৫ জন দালালকে আটক করা হয়। উদ্ধার হওয়া ৬৬ জনের মধ্যে ১৮ জন পুরুষ, ১১ জন নারী ও ৩৭ জন শিশু রয়েছে। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে দুটি দেশীয় রামাদাসহ পাঁচটি রাইফেলের গুলি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, পাচারকারীরা এসব নারী, পুরুষ ও শিশুদের উন্নত জীবনের প্রলোভন দেখিয়ে মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দেশ্যে ওই এলাকায় আটক করে রেখেছিল।
আটক পাচারকারীরা হলেন- টেকনাফের শিলবনিয়া পাড়া এলাকার রাশেদ (২৫), বাহারছড়া ইউনিয়নের কচ্ছপিয়া এলাকার সালেহ আহাম্মদ (৩৫), নুরুল কবির (২৭), সৈয়দ আলম (২৪) ও চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ এলাকার কামরুল ইসলাম (৩২)।
এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, টেকনাফে মানবপাচারসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত রয়েছে- বাহারছড়া ইউনিয়নের নোয়াখালী পাড়া এলাকার ছব্বির ফকিরের দুই ছেলে ফরেস্টর মো. আয়ুব ও মো. তৈয়ব, একই এলাকার মৃত ছৈয়দুর রহমানের ছেলে উমর ফারুক, সাবরাং ইউনিয়নের পুরানপাড়া এলাকার মৃত আব্দুস সালামের ছেলে জুয়ার এজেন্ট মো. ফারুক।
উদ্ধারকৃতদের মধ্যে সাতজন বাংলাদেশি, বাকি ৫৯ জন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা। পাচারকারীরা উন্নত জীবনের প্রলোভন দেখিয়ে তাদের ফাঁদে ফেলেছে। এছাড়া কিছু ক্ষেত্রে মিথ্যা বিবাহের প্রতিশ্রুতি এবং জোরপূর্বক শ্রমে বাধ্য করার অভিযোগও করেছে।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, সাগরপথে মালয়েশিয়া পাচারের সময় পুলিশ কচ্ছপিয়া এলাকার পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে পাচারকারীদের আস্তানা থেকে তাদের উদ্ধার এবং দালালদের আটক করা হয়।
আটক দালালদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইব্রাহিম/এমবি