Logo
Logo

সারাদেশ

থার্টি ফার্স্ট নাইটে পর্যটকের ভিড় নেই কুয়াকাটায়

Icon

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১:৩৭

থার্টি ফার্স্ট নাইটে পর্যটকের ভিড় নেই কুয়াকাটায়

ছবি : বাংলাদেশের খবর

পুরাতন বছরকে বিদায় জানাতে ও নতুন বছরকে বরণ করতে প্রতি বছর থার্টি ফার্স্ট নাইটে কুয়াকাটায় হাজার হাজার পর্যটক সমাগম ঘটত। তবে এ বছর পর্যটকদের আগমন অনেক কমে গেছে। পর্যটন নির্ভর ব্যবসায়ীদের আশা ছিল, এ বছর আরও বেশি পর্যটক দর্শনার্থীদের আগমন ঘটবে। কিন্তু তাদের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি।

এ বছর কুয়াকাটার আবাসিক হোটেল, মোটেল ও রিসোর্টগুলোর অধিকাংশ কক্ষ ফাঁকা পড়ে রয়েছে। সঠিক সময়ে বুকিং না হওয়ায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন হোটেল ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আলোক সজ্জায় সেজে পর্যটকদের আকর্ষণ করতে প্রস্তুতি নিয়েছিল। কিন্তু থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে পর্যটকদের সংখ্যা ছিল অত্যন্ত কম। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এ বছর কুয়াকাটায় যে পরিমাণ পর্যটক আসার কথা ছিল, তার তুলনায় মাত্র ২০ ভাগ কক্ষ বুকিং হয়েছে।

স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ীদের মতে, গত বছরগুলোর তুলনায় এবার পর্যটকদের আগমন ছিল সবচেয়ে কম। বিশেষ করে করোনা পরবর্তী সময়ে এমন পরিস্থিতি দেখা যায়নি। সৈকতে পর্যটকদের ভীড় না থাকায় ছাতা, বেঞ্চসহ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা অলস সময় পার করছেন। তবে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে জিরো পয়েন্টে কিছু সংখ্যক পর্যটক দেখা গেলেও অন্যান্য স্থানগুলো ছিল প্রায় ফাঁকা।


পর্যটন সংশ্লিষ্টরা জানান, তারা আশা করেছিলেন ২০২৪ সালের শেষ সূর্যাস্ত ও ২০২৫ সালের প্রথম সূর্যোদয় দেখতে কুয়াকাটায় প্রায় অর্ধলক্ষাধিক পর্যটক আসবেন। কিন্তু বর্তমানে এমন পরিস্থিতি দেখার কারণে ব্যবসায়ীরা হতাশ। তারা ধারণা করছেন, এ বছর থার্টি ফার্স্ট নাইটে ৫ হাজার পর্যটকও কুয়াকাটায় আসেননি।

এছাড়া কিছু ব্যবসায়ীরা রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও দেশের বর্তমান পরিস্থিতিকে দায়ী করছেন এ পর্যটক সংকটের জন্য। তারা জানান, ৩১ ডিসেম্বরের আগে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে সাধারণ মানুষের মধ্যে এক ধরনের উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা তৈরি হয়েছিল। যার প্রভাব কুয়াকাটার পর্যটন শিল্পেও পড়েছে।

কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোতালেব শরীফ বলেন, এমন পরিস্থিতি এ বছর কেউ ভাবেনি। রাজনৈতিক পরিবেশ যদি সঠিক থাকে তাহলে পর্যটকরা নিরাপদ বোধ করেন ও ভ্রমণে বের হন। তাই আমাদের সকলের উচিত একটি পর্যটনবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করা। যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের সংকট থেকে মুক্ত থাকা যায়।

পর্যটন করপোরেশনের মোটেল ইয়ুথ ইন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের মোটেলের ৭৬টি রুমের মধ্যে ৪০টি রুম বুকিং হয়েছে। কিন্তু বাকি রুমগুলো এখনও খালি রয়েছে। 

একইভাবে আবাসিক হোটেল নীলাঞ্জনার ব্যবস্থাপক মো. হাবিবুর রহমান জানান, এ বছর থার্টি ফার্স্ট নাইটে খুব কম পর্যটক আসায় অধিকাংশ কক্ষ খালি পড়ে আছে।

জাকারিয়া জাহিদ/এমবি 

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর