Logo
Logo

সারাদেশ

এএসআইয়ের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও শারীরিক আঘাতের অভিযোগ

Icon

আশুলিয়া প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:১১

এএসআইয়ের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও শারীরিক আঘাতের অভিযোগ

এএসআই জহিরুল ইসলাম

ঢাকার আশুলিয়ায় এক যুবককে ইয়াবা দিয়ে ছবি তুলে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) জহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে।

এছাড়া এক আনসার সদস্যের গোপনাঙ্গে আঘাত করার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আশুলিয়া থানার সামনে আঘাতের এ ঘটনা ঘটে। 

এএসআই জহিরুল ইসলাম আশুলিয়া পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। আঘাতের অভিযোগের পর তাকে থানা থেকে ক্লোজড করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। 

এএসআইয়ের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ তোলা যুবকের নাম রনি মিয়া। তিনি আশুলিয়ার শুটিংবাড়ি এলাকার বাসিন্দা। আঘাতের অভিযোগ তোলা আনসার সদস্যের নাম নবীন মিয়া। তিনি জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ি উপজেলার বনগ্রামের আজিমুদ্দিনের ছেলে।  

রনি মিয়া জানান, গত বুধবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে আশুলিয়ার শুটিং বাড়ি এলাকার বাসায় প্রবেশ করে ইয়াবা দিয়ে ছবি তুলে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।

রনি বলেন, ‘আমার বাড়ির দুই কলোনিতে শ্রমিক শ্রেণির লোক ভাড়া থাকেন। রাতে কয়েকজন ভাড়াটিয়া বসে তাস খেলছিলেন। এমন সময় এএসআই জহিরুল ইসলাম একজন এসআই ও দুইজন কনস্টেবল নিয়ে আমার বাড়িতে প্রবেশ করেন। পরে তাস খেলার বিষয়ে নানা প্রশ্ন করে আমার হাতে ইয়াবা দিয়ে ছবি তোলেন তারা। গ্রেপ্তারের ভয় দেখিয়ে আমার কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। পরে অনেক কষ্টে ২০ হাজার টাকা দিলে তারা চলে যান।’ 

আনসার সদস্য নবীন বলেন, ‘আশুলিয়া থানার সামনে কথা-কাটাকাটির জেরে জহিরুল ইসলাম আমার গোপনাঙ্গে আঘাত করেন। পরে থানায় মামলা দায়ের করতে চাইলে আমাদের টাকা দিয়ে জোরপূর্বক আপসনামায় স্বাক্ষরের চেষ্টা করেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রধান ওসি (আবু বকর সিদ্দিক), অপারেশন ওসি (মো. আব্দুল বারিক) বলেছেন যে, যেহেতু সে অন্যায় করেই ফেলেছে, আমরা সামাজিকভাবে মিমাংসা করে দিই। পরে  আমি ও আমার ভাই-ব্রাদাররা রাজি হই।’

অভিযোগকারীরা বলছেন, চাঁদাবাজি ও আঘাতের গুরুতর দুই ঘটনার সময় আশুলিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ উপস্থিত ছিলেন। তবে আশুলিয়া থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘এসব ঘটনার সঙ্গে আশুলিয়া ফাঁড়ির ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।’ আঘাতের ঘটনার পরই এএসআই জহিরুলকে ক্লোজ করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

হাসান ভুঁইয়া/এটিআর/এইচকে

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর