ছবি : বাংলাদেশের খবর
দক্ষিণাঞ্চলের জেলা বাগেরহাটে তীব্র শীত জেঁকে বসেছে। বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা চলতি শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন। হঠাৎ শৈত্যপ্রবাহে সবচেয়ে বেশি কষ্টে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।
গ্রামাঞ্চলের দরিদ্র শ্রমজীবী এবং দিনমজুরেরা ঠাণ্ডার প্রকোপে দিন কাটাচ্ছেন ছেঁড়া ও পুরোনো কাপড়ে। বয়স্ক ও শিশুরা শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন।
রিকশাচালক ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘শীত এতটাই বেড়েছে যে সকালে কাজ করতে বের হওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। তবু কাজ না করলে পেট চলবে না। কিন্তু শীতের কারণে যাত্রীরাও কমে গেছে।’
দিনমজুর জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘আমাদের পক্ষে শীতের এই তীব্রতা সহ্য করা কঠিন। ঘরে গরম কাপড় নেই। কাজ না করলে খাবার জুটবে না, কিন্তু এই ঠাণ্ডায় কাজ করাও সম্ভব হচ্ছে না।’
গৃহিণী রাহিমা বেগম বলেন, ‘আমার ছোট বাচ্চারা সারাক্ষণ কাঁপছে। তাদের গায়ে দেওয়ার মতো ভালো কাপড় নেই। শীতবস্ত্র বিতরণ হচ্ছে শুনি, কিন্তু আমাদের পর্যন্ত কিছুই আসেনি।’
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আলিমুজ্জামান বলেন, ‘শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দোকানে ক্রেতা কমে গেছে। যেসব পণ্য বিক্রি করতাম, সেগুলো এখন আগের মতো চলছে না।’
এ বিষয়ে মোংলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবহাওয়াবিদ মো. হারুন অর রশিদ বলেন, ‘শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) বাগেরহাটে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শৈত্যপ্রবাহের কারণে তাপমাত্রা কমে গেছে এবং এটি দুই থেকে তিন দিন অব্যাহত থাকতে পারে।’
শেখ আবু তালেব/এমআই