Logo

সারাদেশ

তীব্র শীতে বন্ধ মধু উৎপাদন

Icon

চলনবিল প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩ জানুয়ারি ২০২৫, ২০:৪১

তীব্র শীতে বন্ধ মধু উৎপাদন

ছবি : বাংলাদেশের খবর

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে জেঁকে বসেছে শীত। হিমেল বাতাস ও তীব্র শীতে মৌ-বাক্স থেকে বের হচ্ছে না মৌমাছি। ফলে মধু উৎপাদন বন্ধ হয়ে পড়েছে।

মৌ খামারিরা জানিয়েছেন, স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন প্রতিটি খামারে গড়ে ১৫ থেকে ২০ মণ মধু পাওয়া যেত। বর্তমানে শীতের কারণে মৌমাছিরা মৌ বাক্স থেকে বের হচ্ছে না। ফলে মধু সংগ্রহ করা যাচ্ছে না এবং মৌমাছির খাবারের জন্য বাক্সে থাকা মধু তাদের জন্য রেখে দেওয়া হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার মাগুরা বিনোদ ইউনিয়নের মাগুরা বিনোদ গ্রামে বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে মৌ খামার গড়ে তোলা হয়েছে। তবে তীব্র শীতের কারণে মৌবাক্সের উপরে পলিথিন ও চটের কাপড় মুড়িয়ে রাখা হয়েছে। যাতে মৌমাছিরা শীতে আক্রান্ত না হয়। কিন্তু শীতের কারণে তারা মধু সংগ্রহের জন্য বের হচ্ছে না।

হরিনগর ইউনিয়নের জোতিন্দ্রনগর গ্রামের মৌ খামারি আব্দুল্লাহ আল মামুন, মুজিবুল ইসলাম ও অমিত হাসান জানান, আবহাওয়া অনুকূলে না থাকলে মৌমাছি মধু সংগ্রহে বের হয় না। যার ফলে মধু উৎপাদন সম্ভব হয় না। শীতে মৌমাছিরা দুর্বল হয়ে পড়বে এবং অতিরিক্ত ঠান্ডায় তারা মারা যেতে পারে। তাই মৌমাছির খাওয়ার জন্য বাক্সের মধু তাদের জন্য রেখে দেওয়া হয়েছে।

এ বছর ১০ হাজার ৩১২ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। আর মধু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু ডিসেম্বর মাসের প্রথম দিকে মধু উৎপাদন শুরু হলেও জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে মাত্র ১১ টন মধু সংগ্রহ হয়েছে। উপজেলায় গত এক মাসে দুইবার মধু উৎপাদন করা হয়েছে। প্রথমবার ১০ মণ ও দ্বিতীয়বার ১৯ মণ মধু সংগ্রহ করা হয়েছে। শীতের তীব্রতা না বাড়লে শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) ২০ মণের বেশি মধু উৎপাদন সম্ভব হতে পারে বলে ধারণা করছেন খামারিরা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, উপজেলায় প্রতিবছর সরিষার আবাদ বাড়ছে। মৌ খামারিরা মধু উৎপাদনও বাড়াচ্ছে। তবে আবহাওয়ার পরিবর্তনের উপর লাভ-লোকসানও নির্ভর করছে।

ফিরোজ আল আমিন/এমবি 

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর