শীতের তীব্রতায় ফুটপাতের দোকানে কেনাকাটার ধুম

বাগেরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩ জানুয়ারি ২০২৫, ২১:৫৪
---2025-01-03T215035-6778084c10df4.jpg)
ছবি : বাংলাদেশের খবর
শীতের তীব্রতা বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের জীবন। এ সময়টিতে ফুটপাতের শীতবস্ত্রের দোকানগুলো হয়ে উঠেছে তাদের স্বস্তির জায়গা। বাগেরহাট শহরের বিভিন্ন স্থান, বিশেষ করে দরগা মাজারের মাঠ, কোর্ট স্টেশন, রেলস্টেশন ও অন্যান্য বাজারগুলোতে শীতবস্ত্র কেনার জন্য মানুষের ঢল নেমেছে।
দরকারি পোশাক কিনতে এসে সাধারণ মানুষ তাদের সুবিধামতো সাশ্রয়ী দামে মানসম্মত শীতবস্ত্র পাচ্ছেন। যা তাদের মুখে হাসি ফুটিয়ে তুলছে। ফুটপাতের দোকানগুলোতে শিশুদের জাম্পার ১৫০-৩০০ টাকায়, পুরুষদের হুডি ২৫০-৩৫০ টাকায় ও নারীদের সোয়েটার ৩০০-৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া চাদর ২৫০-৪৫০ টাকায়, উলের টুপি, গ্লাভস ও স্কার্ফ ৬০-২০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। এসব পণ্যের দাম কম থাকায় নিম্ন আয়ের মানুষগুলো ভিড় করছেন এ দোকানগুলোতে।
ব্যবসায়ী মতিন মিয়া জানান, শীতের এ সময়টাই তাদের ব্যবসার মৌসুম। প্রতিটি বান্ডিল থেকে ২-৩ হাজার টাকা লাভ হয়। ঠান্ডা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিক্রি আরও বেড়ে যায়। প্রতিদিন ৫-৭ হাজার টাকার পণ্য বিক্রি হচ্ছে।
শীতবস্ত্র কিনতে আসা হাসান আরিফ বলেন, ফুটপাতের পণ্যের মান বেশ ভালো। এখানে ৪০০-৫০০ টাকায় যেটা কিনেছি। যা মার্কেটে কিনতে গেলে ১০০০ টাকার নিচে পাওয়া যেত না।
গৃহিণী রেজিয়া বেগম জানান, শীতবস্ত্রের দাম তাদের সাধ্যের মধ্যে থাকায় তারা খুব উপকার পেয়েছেন। তাদের পরিবারের ছয়জনের জন্য ফুটপাত থেকে পোশাক কিনেছেন।
বাগেরহাটের শীতবস্ত্রের দোকানগুলো এখন শুধু কেনাকাটার স্থান নয়, বরং নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য একটি আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে। শীতের প্রকোপ আরও বাড়লে এ ধরনের দোকানগুলোতে মানুষের ভিড় আরও বাড়বে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।
মোংলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবহাওয়াবিদ মো. হারুন অর রশিদ জানান, শুক্রবার বাগেরহাটের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তিনি আরও জানান, শৈত্যপ্রবাহের কারণে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি আনুমানিক দুই থেকে তিনদিন ধরে থাকবে।
শেখ আবু তালেব/এমবি