ছবি : বাংলাদেশের খবর
কুড়িগ্রামের উলিপুরে চলমান ফসলি জমির টপ সয়েল কাটার কার্যক্রম কৃষি ও পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে ইটভাটার মালিকরা কৃষকদের কাছ থেকে টপ সয়েল ক্রয় করে তা অবাধে ট্রাকযোগে ইটভাটায় নিয়ে যাচ্ছেন। এর ফলে কৃষি জমির উর্বরতা শক্তি হ্রাস পাচ্ছে এবং ভবিষ্যতে ফসল উৎপাদনেও সমস্যা দেখা দিতে পারে।
সরেজমিনে উপজেলার তবকপুর ইউনিয়নে অবস্থিত এম আর বি ব্রিকস, এম এন বি ব্রিকস, এম এস বি ব্রিকসসহ বেশ কয়েকটি ইট ভাটায় গেলে ট্রাকযোগে বিভিন্ন ফসলি জমির মাঠ থেকে টপ সয়েল এনে ইট ভাটায় মজুদ রাখতে দেখা যায়।
এ বিষয়ে এম আর বি ব্রিকস ইটভাটার মালিক ফাহিম মিদুল বলেন, ‘জমির টপ সয়েল কেটে আনার কোনো নিয়ম নাই। সবাই আনতেছে, আমিও আনতেছি। আপনার আর কিছু জানার থাকলে অ্যাসিলেন্ড স্যারের কাছ থেকে জেনে নিন, উনিই সব বলতে পারবেন।’
এম এন বি ব্রিকস ইটভাটার ম্যানেজার আলক কুমার বলেন, ‘আইন অনুযায়ী কোনো ইটভাটা চলতে পারবে না। বৈধ-অবৈধ সব মিলেই চলা লাগবে। পরিবেশের ক্ষতি হলেও মানুষের তো উপকার হচ্ছে।’
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোশারফ হোসেন বলেন, ‘জমির উপরিভাগের উর্বর টপসয়েল একবার নষ্ট করলে সেই টপসয়েল তৈরি হতে কমপক্ষে ১০০ বছর সময় লাগে। টপসয়েল কেটে নেওয়াতে জমি তার উর্বরতা হারিয়ে ফেলে, উৎপাদন ক্ষমতা হারিয়ে যায়।’
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) কাজী মাহামুদুর রহমান বলেন, জমির টপ সয়েল কেটে ইট ভাটায় নিয়ে যাওয়া সম্পূর্ণ অবৈধ। পরিবেশ অধিদপ্তরের সঙ্গে কথা বলে খুব শীঘ্রই এগুলো বন্ধের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পরিবেশ অধিদপ্তর কুড়িগ্রামের সহকারী পরিচালক রেজাউল করিম জানান, ‘উলিপুরে যে ইটভাটা গুলো আছে অধিকাংশ ইটভাটারই পরিবেশ অধিদপ্তরের কোনো ছাড়পত্র নেই। ছাড়পত্র থাকলেও ফসলি জমির টপসয়েল কেটে আনার কোনো নিয়ম নেই। সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে এসব বন্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে।’
এটিআর/