অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি, অবশেষে ৬ অপহরণকারী ধরা
কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৯ জানুয়ারি ২০২৫, ২০:০২
ছবি : বাংলাদেশের খবর
ঢাকার কেরানীগঞ্জে বেকারি শ্রমিক মোহাম্মদ আলাল (২৪) অপহরণ করে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করার পর অপহৃতকে উদ্ধার ও এক নারীসহ ৬ অপহরণকারীকে আটক করেছে র্যাব-১০।
আটককৃতরা হলেন, সৈকত সরকার (২৩), শিহাব রহমান সিন (২১), মো. সজিব (৩০), মো. রাসেল (৩০) মো. মেহেদী হাসান (২৮) ও মোছা. কুলসুম (২১)।
তাদের মধ্যে কয়েকজনের বিরুদ্ধে কেরানীগঞ্জ মডেল ও দক্ষিণ থানায় একাধিক মাদক ও অপহরণ মামলা রয়েছে।
জানা গেছে, বুধবার (৮ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার গদাবাগ এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। এসময় অপহরণকারীদের কাছ থেকে ৯টি মোবাইল ফোন, ২টি সুইচ গিয়ার, ২টি লোহার কেচি, ১টি সেলাই রেঞ্জ, ১টি স্টিলের ডালি, ১টি স্টিলের প্লাস, ২টি স্ক্রু ড্রাইভার এবং অপহরণ কাজে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল ও একটি সিএনজি উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে কেরানীগঞ্জের রাজেন্দ্রপুরে র্যাব-১০ সদরদপ্তরে সিপিসি-২ কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট তানভীর হাসান শিথিল প্রেস ব্রিফিংয়ে বিষয়টি জানান।
তিনি বলেন, ‘সোমবার (৬ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকার শ্যামপুর থানার জুরাইন পোস্তগোলা ব্রিজের নিচে থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর গোকর্ণ পাড়া এলাকার মৃত সানু মিয়ার ছেলে আলাল মিয়া নিখোঁজ হয়। পরবর্তীতে অপহরণকারীরা আলালের মাকে মোবাইল ফোনে মুক্তিপণ হিসেবে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। ওই সময় তারা আলালকে এলোপাথাড়ি মারধর করে এবং ছুরিকাঘাত করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে নির্যাতনের ভিডিও ধারণ করে আলালের মাকে পাঠায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আলালের পরিবারের সদস্যদেরকে ভিডিও কলে রেখে মারধর করতে থাকে এবং ভিকটিমের পরিবারের কাছে মুক্তিপণের জন্য চাপ দেয় করে নতুবা তাকে হত্যা করবে বলে হুমকি প্রদান করে। এরপর আলালের পরিবার তাকে বাঁচানোর জন্য আটককারীদেরকে বিকাশের মাধ্যমে ২০ হাজার টাকা পাঠায়।’
তানভীর হাসান বলেন, ‘বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাওয়ার পরও আটককৃতরা তাকে মারধর অব্যাহত রাখে এবং পরিবারকে আরও টাকা দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। পরবর্তীতে আলালের পরিবার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করলে ছায়া তদন্ত হিসেবে র্যাব অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে আটক করে।’
মো. এরশাদ হোসেন/এমআই