ফসলি জমি ধ্বংস করে মাটি কাটার মহোৎসব
![Icon](https://www.bangladesherkhabor.net/uploads/settings/ezgif-7-c58f72a6c2icon-2-1730277221.png)
সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৪:০৭
![ফসলি জমি ধ্বংস করে মাটি কাটার মহোৎসব](https://www.bangladesherkhabor.net/uploads/news_photos/2025/01/11/BK-misbah-(65)-678226d3d07ab.jpg)
ছবি : বাংলাদেশের খবর
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের সিংলাবো এলাকায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রাতের অন্ধকারে চলছে ফসলি জমির মাটি কাটার মহোৎসব। এক্সক্যাভেটর দিয়ে জমির উর্বর মাটি তুলে তা ইটভাটা ও অন্যান্য কাজে বিক্রি করছে একটি অসাধু চক্র। ফলে এলাকাটির অন্তত অর্ধশত কৃষক তাদের জমিতে চাষাবাদ করতে পারছেন না।
স্থানীয় কৃষক ও এলাকাবাসীর অভিযোগ, জমি রক্ষায় সরকারের কড়া নির্দেশনা থাকলেও প্রভাবশালী নেতাদের মদদে এই মাটি ব্যবসা অব্যাহত রয়েছে। সিংলাবো এলাকার কৃষক শাহিন মিয়া বলেন, ‘প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এবং স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের আশ্রয়ে তারা জমির মাটি কেটে নিচ্ছে। আমরা কিছু বললে হুমকির মুখে পড়ি।’
এলাকাবাসীর অভিযোগ, সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা কাজী রাসেল, জাতীয় পার্টির নেতা আবুল বাশার বাবু এবং স্থানীয় প্রভাবশালী সালাম শিকদার মাটি কাটার এই চক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তবে কাজী রাসেল বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘মাটি কাটার সঙ্গে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। এটি আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা।’ অন্যদিকে, আবুল বাশার ও সালামের ফোন বন্ধ থাকায় তাদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, প্রতিদিন গভীর রাতে এক্সক্যাভেটরের সাহায্যে মাটি কেটে নেওয়া হয়। এতে ফসলি জমি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এতে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা।
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ বারী বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মাটি কাটার কাজ বন্ধ করেছে। একটি এক্সক্যাভেটর জব্দ করেছে। কৃষকরা যদি লিখিত অভিযোগ করেন, তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা রহমান বলেন, ‘ফসলি জমি ধ্বংস করে মাটি কাটার বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এ ধরনের কাজের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
কৃষিজমি ধ্বংসের এই প্রবণতা বন্ধে ও প্রভাবশালীদের দৌরাত্ম্য রোধে কৃষকরা সরকারের কার্যকর হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসনের নির্লিপ্ত ভূমিকা নিয়েও তারা প্রশ্ন তুলেছেন।
সজীব হোসেন/এমজে