সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরকারিভাবে দেওয়া চারটি টিকার একটিরও সরবরাহ নেই। শিশুদের টিকা দিতে পারবেন কিনা, এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন অভিভাবকরা। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সরেজমিনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা গেছে, বেশ কয়েকজন অভিভাবক টিকা না দিয়েই ফিরে যাচ্ছেন।
পৌরসভার ভাদাস মহল্লার মাহি পারভীনসহ বেশ কয়েকজন অভিভাবক বলেন, ‘উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে বাচ্চাদের টিকা না দিয়েই বাড়ি ফিরছি। সময়মতো টিকা দিতে পারলাম না। বাচ্চার কোনো ক্ষতি হয়ে যায় কিনা, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইপিআই বিভাগের ভারপ্রাপ্ত টেকনিশিয়ান আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘বছরের শেষে এসে সরকারি সরবরাহের টিকা ফুরিয়ে গেছে। ডিসেম্বরের শুরু থেকেই টিকাস্বল্পতা দেখা দিয়েছে। নতুন সরবরাহ না আসা পর্যন্ত এ সমস্যা মিটবে না।’
জেলা ইপিআই সুপারিনটেনডেন্ট মোহাম্মদ মোতালেব হোসেন বলেন, ‘ঢাকার মহাখালী ইপিআই কেন্দ্র থেকে টিকা সরবরাহ হয়। গত দুই মাসে চার ধরনের টিকা সরবরাহ করা হয়নি। তবে এক মাসের মধ্যে নতুন টিকা আসবে। এ সংকট থাকবে না।’
সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) আওতায় ২৩ মাস বয়সের মধ্যে শিশুদের ১০টি রোগের প্রতিষেধক টিকা দেওয়ার কথা। তবে গত এক মাস ধরে তাড়াশ উপজেলায় বিসিজি, পেন্টা ভ্যালেন্ট, ওপিডি ও এমআর (হাম ও রুবেলা) টিকার সংকট দেখা দিয়েছে। প্রতিদিন সরকারি হাসপাতাল ও বিভিন্ন কেন্দ্রে গিয়ে টিকা না পেয়ে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন শিশুদের মা ও স্বজনরা।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা এরফান আহমেদ বলেন, ‘দূরদূরান্ত থেকে অভিভাবকরা শিশুদের নিয়ে আসেন, কিন্তু শুনতে পান টিকা নেই। তারা ক্ষুব্ধ হন। তবে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। চাহিদা পাঠানো হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যেই টিকার সরবরাহ পাওয়া যাবে।’
এমজে