ব্যাংক কর্মচারীকে তুলে নিয়ে ১৬ লাখ টাকা ছিনতাই
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ২০:০১
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে দিনদুপুরে এজেন্ট ব্যাংকের এক কর্মচারীকে ডিবি পরিচয়ে হাতকড়া পরিয়ে অপহরণ ও মারধর করে ১৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এর ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনো মামলা হয়নি।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ ও ব্যাংক-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার জৈনসার ইউনিয়নের কাঁঠালতলী গ্রামের ইছাপুরা-ভবানীপুর সড়কে ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট শাখার এক কর্মচারীকে অপহরণ করে ওই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী কর্মচারীর নাম আফজাল শেখ। তিনি জৈনসার ইউনিয়নের ভবানীপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামের প্রয়াত জসিমউদ্দিন শেখের ছেলে। তিনি ভবানীপুর ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট শাখার কর্মচারী।
ইসলামী ব্যাংকের ভবানীপুর এজেন্ট শাখার এজেন্ট কামাল শেখ বলেন, এ ঘটনার পর মঙ্গলবার তারা বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছিলেন। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। তারা মঙ্গলবার মামলা করতে চেয়েছিলেন। পুলিশ জানিয়েছিল, বুধবার তাদের থানায় ডেকে ব্যবস্থা নেবে।
এ বিষয়ে জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (সিরাজদিখান সার্কেল) আ ন ম ইমরান খান বলেন, বাদীপক্ষের কেউ বুধবার থানায় আসেননি। তারা এলে পুলিশ মামলা নেবে। এ ঘটনার বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা খবর পাওয়ার পর ব্যাংকের ওই কর্মীকে যেখান থেকে তুলে নেওয়া হয়েছিল এবং যেখানে ফেলে রেখে যাওয়া হয়েছিল, সেসব এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। যেখানে যেখানে সিসিটিভি ছিল, সেগুলোর ফুটেজ সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করছি। ঘটনার সঙ্গে ব্যাংক-সংশ্লিষ্ট বা অন্য কেউ জড়িত কি না, তা তদন্ত করা হচ্ছে। আশা করি, দোষী ব্যক্তিরা খুব দ্রুত ধরা পড়বেন। প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।
ঘটনার পর ভুক্তভোগী আফজাল শেখ সাংবাদিকদের জানায়েছিলেন, ভবানীপুর এজেন্ট শাখার জন্য মঙ্গলবার দুপুরে ইসলামী ব্যাংকের নিমতলা শাখা থেকে ১৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা তুলে বাসে তিনি ইছাপুরা আসেন। ইছাপুরা থেকে ভবানীপুর এজেন্ট শাখায় যাওয়ার সময় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় জৈনসারের কাঁঠালতলী গ্রামে পৌঁছালে একটি মাইক্রোবাস তার অটোরিকশার গতি রোধ করে ডিবির পোশাক পরা চার-পাঁচজন লোক।
তিনি আরও বলেন, তারা অস্ত্রের মুখে হাতকড়া পরিয়ে তাকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যান। তার চোখ বেঁধে হাতকড়া পরিয়ে মারধর করেন। পরে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে তার কাছ থেকে ১৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে তাকে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের একটি নির্জন স্থানে ফেলে যান।
আবু সাঈদ/এমবি