২০ বছর ধরে অবৈধভাবে দুটি পদে চাকরি করেন ফিরোজ
নওগাঁ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮:২১
নওগাঁর মান্দা উপজেলার গোবিন্দপুর বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের অফিস সহকারী ফিরোজ আহম্মদ খাঁনের বিরুদ্ধে ২০ বছর ধরে একই প্রতিষ্ঠানে দুটি পদে চাকরি করার অভিযোগ উঠেছে। কখনো তিনি অফিস সহকারী, কখনো সহকারী শিক্ষক পদে কর্মরত থেকে নিয়মিত সরকারি বেতন-ভাতা উত্তোলন করেছেন বলে জানা গেছে।
ফিরোজ আহম্মদ খাঁন ১৯৯৬ সালের ২ নভেম্বর অফিস সহকারী পদে চাকরিতে যোগ দেন। পরে ২০০৪ সালের ডিসেম্বরে একই প্রতিষ্ঠানে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পান। তবে তিনি অফিস সহকারী পদ থেকে পদত্যাগ না করেই নতুন পদে নিয়োগ গ্রহণ করেন। যা বিধিসম্মত নয়।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ফিরোজ আহম্মদ খাঁন ২০১৩ সালের মে মাসে সহকারী শিক্ষক পদে এমপিওভুক্ত হন। একই মাসে তার নামে দুটি পদেই সরকারি বেতন ইস্যু হয়। তবে তিনি সহকারী শিক্ষক পদে বেতনভাতা উত্তোলন করেন।
২০১৩ সালের জুলাই মাসে নিয়োগ জটিলতার কারণে তার সহকারী শিক্ষক পদটি স্থগিত হলে তিনি পুনরায় অফিস সহকারী পদে ফিরে যান এবং সেই পদে নিয়মিত বেতন উত্তোলন করছেন।
বিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রধান শিক্ষক প্রয়াত আফাজ উদ্দিন মণ্ডলের সময়ে ফিরোজ আহম্মদ খাঁনের এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। অভিযোগ রয়েছে, তার বড় ভাই আব্দুল মালেক খাঁন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে উচ্চপদে কর্মরত ছিলেন। তিনি এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রভাব বিস্তার করেছিলেন।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহ আলম মিয়া জানান, একই প্রতিষ্ঠানে এক পদে পদত্যাগ না করে অন্য পদে নিয়োগ নেওয়া নিয়মবহির্ভূত। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ফিরোজ আহম্মদ খাঁন বলেন, ‘বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি আমাকে যেভাবে নিয়োগ দিয়েছে, আমি সেভাবেই চাকরি করছি। এর বাইরে কিছু বলতে পারছি না।’
বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক ছুরত আলী প্রামাণিক বলেন, ‘ফিরোজ আহম্মদ খাঁনের নিয়োগ প্রক্রিয়া আইনসম্মত ছিল না। তার এমপিওভুক্তি প্রক্রিয়াও অবৈধভাবে হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।’
এম এ রাজ্জাক/এমজে