ছবি : সংগৃহীত
কুমিল্লার তিতাস উপজেলার ৯নং মজিদপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মো. আবু হানিফ। এর আগে তিনি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে চলছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। তিনি উপজেলার মজিদপুর ইউপির ৪নং ওয়ার্ড আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি একই ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার (ইউপি সদস্য)।
জানা গেছে, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে আ. লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত সক্রিয়ভাবে দলীয় কার্যক্রমগুলো পালন করেছেন আবু হানিফ। হঠাৎ করে বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেল থেকে প্রকাশ্যে আসে আবু হানিফ জামায়াতের ওয়ার্ড সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। এরপর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে।
অভিযুক্ত মো. আবু হানিফ বাংলাদেশের খবর‘কে বলেন, ‘আমি কোনো দলের রাজনীতি করি না। আমি একজন জনপ্রতিনিধি। আমি প্রবাসে ছিলাম। প্রবাস থেকে ফিরে নির্বাচন করে আমি জনপ্রতিনিধি (ইউপি সদস্য) হয়েছি। আমি আওয়ামী লীগও না, জামায়াতও না, বিএনপিও না, আমি জনপ্রতিনিধি। আমি যদি পছন্দ করে একটি দলের রাজনীতি করি, সেটা দোষের কিছু নয়। কিন্তু আমি তো কোনোও রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত নই। যে সরকার আসবে আমার সেই সরকারের সাথেই তাল মিলিয়ে চলতে হবে।’
জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন কি না, উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমির সাহেবের সাথে কথা বলেছি। আমি দশ বছর আগে থেকে জামায়াতে ইসলামীর সাথে আছি। আমি জামায়াতে ইসলামীর সাথে থাকব, যদি জামায়াতের আমির সাহেব আমাকে পদ দেন, তাহলে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করব। আমাদের ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ করতেন। জনপ্রতিনিধি হিসেবে তার সাথে অনেক অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম।’
ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন কি না, এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘চেয়ারম্যান পদ ঘোষণা করেছিল। কিন্তু আমি আওয়ামী লীগের রাজনীতি করি নি। আমি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদেও ছিলাম না।’
এ বিষয়ে তিতাস উপজেলা জামায়াতে ইসলামী আমির ইঞ্জিনিয়ার শামীম সরকার বলেন, ‘তাকে কীভাবে ওয়ার্ড সভাপতি করা হয়েছে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা আছে। তবে অল্প সময়ে ব্যাখ্যা দেওয়া যাবে না সাক্ষাতে বলতে হবে।’
সোহাইবুল ইসলাম সোহাগ/এমআই