Logo

সারাদেশ

শিক্ষকদের স্বেচ্ছাচারী কার্যক্রম, ১০টায় শুরু হয়ে ১টায় ছুটি স্কুল

Icon

মাল্টিমিডিয়া করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫:১০

শিক্ষকদের স্বেচ্ছাচারী কার্যক্রম, ১০টায় শুরু হয়ে ১টায় ছুটি স্কুল

ছবি : বাংলাদেশের খবর

কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বেশ কয়েকটি বিদ্যালয়ে সময়সূচি নিয়ে শিক্ষকদের স্বেচ্ছাচারিতা দেখা গেছে। নিয়ম অনুযায়ী সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত বিদ্যালয় চালানোর বাধ্যবাধকতা থাকলেও অনেক প্রতিষ্ঠান নিয়ম ভেঙে সকাল ১০টায় ক্লাস শুরু করে দুপুর ১টায় ছুটি দিয়ে দিচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাকার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি অভিভাবকদের মধ্যে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

বিদ্যালয়গুলোতে তালা ঝুলছে দুপুরেই
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সরেজমিনে তবকপুর ইউনিয়নের মাটিয়াল আল মোজাদ্দেদিয়া দাখিল মাদ্রাসা, মাটিয়াল দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, কাজলডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাজলডাঙ্গা ভেড়ামারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং উমানন্দ মধ্যপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করা হয়। দুপুর ২টার দিকে প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানেই মূল ভবন ও শ্রেণিকক্ষগুলোতে তালা ঝুলতে দেখা যায়। শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিতির পাশাপাশি কোনো শিক্ষক বা কর্মচারীকেও বিদ্যালয়ে পাওয়া যায়নি।  

প্রধান শিক্ষকদের অজুহাত
মাটিয়াল আল মোজাদ্দেদিয়া দাখিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আইয়ুব আলী জানান, ‘বই স্বল্পতার কারণে আমরা জোহরের নামাজের পর মাদ্রাসা ছুটি দিয়ে দিই। আমি ব্যক্তিগত কাজে মাদ্রাসা ছুটি দিয়ে মিটিংয়ে আছি।’  

মাটিয়াল দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘বই না থাকায় ক্লাস নেওয়া সম্ভব হয়নি। সবাই যেমন করে, আমিও সেভাবেই পরিচালনা করি।’  

কাজলডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল আমিন মুঠোফোনে জানান, ‘আমি ব্যক্তিগত কাজে ব্যাংকে এসেছি।’ বিদ্যালয় ছুটি দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি ফোন সংযোগ কেটে দেন।  

প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ইসাহাক আলী সরকার বলেন, ‘প্রত্যেক শিক্ষককে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকতে হবে। এই সময়ের আগে কোনোভাবেই বিদ্যালয় ছুটি দেওয়া যাবে না। নিয়ম ভাঙার ঘটনায় তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল হাই বলেন, ‘নির্ধারিত সময়ের আগে বিদ্যালয় ছুটি দেওয়ার কোনো নিয়ম নেই। আমি প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধানদের নিয়ম মেনে বিদ্যালয় পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছি। এই বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

অভিভাবকদের উদ্বেগ
বিদ্যালয়ের সময়সূচি না মানায় শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় চরম বিরূপ প্রভাব পড়ছে। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন অভিভাবকরা।

এটিআর/


Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর