Logo

সারাদেশ

তিস্তায় তামাক চাষ বৃদ্ধি, স্বাস্থ্যঝুঁকি ও জমির উর্বরতা হ্রাস

Icon

মাল্টিমিডিয়া করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:০১

তিস্তায় তামাক চাষ বৃদ্ধি, স্বাস্থ্যঝুঁকি ও জমির উর্বরতা হ্রাস

ছবি : বাংলাদেশের খবর

লালমনিরহাটের তিস্তায় তামাক চাষের প্রবণতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তামাক কোম্পানিগুলোর প্রলোভনে এবং অধিক মুনাফার আশায় এখানকার কৃষকরা তামাক চাষে ঝুঁকছেন। তবে, এই লাভজনক চাষের সঙ্গে রয়েছে বিপজ্জনক স্বাস্থ্যঝুঁকি এবং জমির উর্বরতা হ্রাসের মতো খারাপ প্রভাবও।

কয়েক বছর আগেও জেলার তিস্তাসহ যেসব এলাকায় আবাদি জমিতে ধান, গম, ভুট্টা, সরিষা, আলু ও বিভিন্ন আগাম জাতের সবজী চাষ করা হতো, সেসব জমিতে এখন তামাক চাষ হচ্ছে।

আগ্রহ বৃদ্ধির কারণ
কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী ইউনিয়নের কৃষকরা বলেন, জেলার পাঁচটি উপজেলার মধ্যে কালীগঞ্জ ও আদিতমারী উপজেলায় সবচেয়ে বেশি তামাকের চাষ হয়। এর কারণ হলো, অন্যান্য ফসল চাষ করে ন্যায্যমূল্য পাওয়া যায় না। এছাড়া শ্রমিকের অধিক মূল্য হওয়ায় প্রতি বছর তারা ক্ষতিগ্রস্ত হন। ফলে অধিক মুনাফার আশায় স্বাস্থ্য ঝুঁকি জেনেও তামাক চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।

তামাক চাষের প্রতি আকৃষ্ট হওয়ার আরেকটি কারণ হলো কৃষকদের জন্য সিগারেট কোম্পানির প্রণোদনা। একর প্রতি জমিতে নগদ টাকা, বিজ এবং ইসুবি সার সরবরাহের মাধ্যমে কোম্পানিগুলো কৃষকদের এই চাষে আরও উৎসাহিত করছে।

স্বাস্থ্যঝুঁকি
জেলা সিভিল সার্জন নির্মলেন্দু রায় জানিয়েছেন, তামাক চাষ ও সেবনের ফলে শ্বাসকষ্ট, স্ট্রোক, ক্যানসার, চর্ম ও যৌনসহ বিভিন্ন রোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তামাকের বিষাক্ত প্রভাব শুধু কৃষকদের নয়, তাদের পরিবারের শিশুসহ সাধারণ মানুষদের ওপরও পড়ছে।

চাষ
লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মো. সাইখুল আরিফিন জানিয়েছেন, এবছর জেলার ৫টি উপজেলায় মোট ১৫ হাজার ৫৭ হেক্টর জমিতে তামাক চাষ হয়েছে, যা গতবছরের তুলনায় প্রায় ৯ হাজার ৮ শত ৬৫ হেক্টর বেশি।

পরামর্শ
তামাক চাষের ফলে জমির উর্বরতা কমছে এবং পরিবেশের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এ অবস্থায় সমস্যা সমাধানের জন্য একযোগে উদ্যোগী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য বিভাগ।

এটিআর/


Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর