-678e1761e04fe.jpg)
শেরপুরের নকলায় পৃথক দুই মামলায় দুই সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে একজন বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় এবং আরেকজন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যাকাণ্ডের মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন।
গ্রেপ্তার সাংবাদিকরা হলেন, নকলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক, দৈনিক কালের কণ্ঠ ও কালবেলার উপজেলা প্রতিনিধি এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগের নকলা উপজেলা সভাপতি মোশারফ হোসেন সরকার বাবু। তিনি গত বছর অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নকলা উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।
অপরজন হলেন, নকলা প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দৈনিক আলোকিত প্রতিদিন পত্রিকার শেরপুর জেলা প্রতিনিধি নুর হোসেন।
শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জোবায়দুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাংবাদিক নূর হোসেন সম্প্রতি নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট শেয়ার করছিলেন। এ অভিযোগে ১৮ জানুয়ারি রাত ৮টার দিকে নকলা শহরের হলপট্টি মোড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নকলা উপজেলার সমন্বয়ক এসএম মাসুমসহ ১০-১৫ জন তাকে ডেকে নিয়ে মারধর করেন। পরে পুলিশ তাকে আটক করে এবং গত বছরের ১২ ডিসেম্বর বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫ (৩) ধারায় দায়ের করা একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখায়। রোববার (১৯ জানুয়ারি) আদালতে তোলা হলে নূর হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
এদিকে, নূর হোসেনকে আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় নকলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন সরকারসহ কয়েকজন সাংবাদিক আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আদালত থেকে ফেরার পথে শেরপুর শহরের নয়ানিবাজার এলাকায় পুলিশ মোশারফ হোসেন বাবুকে গ্রেপ্তার করে। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ সবুজ হত্যাকাণ্ডের মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নকলা উপজেলার সমন্বয়করা জানিয়েছেন, সাংবাদিক নূর হোসেন নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের পক্ষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন পোস্ট শেয়ার করছিলেন। একাধিকবার সতর্ক করা হলেও তিনি এসব কার্যক্রম বন্ধ করেননি। ফলে তাকে আইনের হাতে সোপর্দ করা হয়।
শাহরিয়ার শাকির/এমজে