Logo

সারাদেশ

কুষ্টিয়া হাসপাতাল

৭ মাস ধরে পরিচ্ছন্নতা ও নিরাপত্তাকর্মীদের বেতন বন্ধ

Icon

আকরামুজজামান আরিফ, কুষ্টিয়া

প্রকাশ: ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:০৮

৭ মাস ধরে পরিচ্ছন্নতা ও নিরাপত্তাকর্মীদের বেতন বন্ধ

ছবি : বাংলাদেশের খবর

দীর্ঘ সাত মাস ধরে ভেতন-ভাতা বন্ধ থাকায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের ৪০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মীসহ ১৪ নিরাপত্তাকর্মী।  প্রতি বছরের জুন থেকে জুন পর্যন্ত টেন্ডার এবং রিটেন্ডারের মাধ্যমে বেতন হয় তাদের। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে যারা টেন্ডার করে আনেন তারা কেউই এ বছর রিটেন্ডার করতে পারেননি। গত ৫ আগস্টের পর থেকে তারা পলাতক। এদিকে বেতনের আশায় চাকরি ধরে রাখতে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন অসহায় কর্মীরা। ধার-দেনা করে আর সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। 

ভুক্তভোগীরা জানান, ‘‘প্রতিবছরের জুন টু জুন টেন্ডারের মাধ্যমে আমাদের বেতন হয়ে থাকে। এ বছরেও টেন্ডার হয়েছে, কিন্তু ৫ আগস্টের পরে বেতন দিতে পারেননি কর্তৃপক্ষরা। আমরা প্রায় সাত মাস কাজ করেছি, এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাইনি। এর আগে আমরা হাসপাতালে সংবাদ সম্মেলন করেছিলাম। তখন নতুন মেডিকেল অফিসার ডা. হোসেন ইমাম আমাদেরকে ডেকে বলেছিলেন, আপনারা কাজ করতে থাকেন অবশ্যই বেতন পাবেন। কিন্তু কোনো সমাধান মেলেনি। পরবর্তীতে পুনরায় আমরা তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. রফিকুল ইসলামকে জানাই, তিনি আমাদের বলেছিলেন, ‘ডিসি অফিসের মিটিংয়ে আমি ডিসি স্যারকে জানিয়েছি, তবু আলোর মুখ দেখতে পাইনি।’’ 

দ্রুত সমাধান চেয়ে তারা আরও বলেন, ‘আমাদের পরিবার আছে, বাড়িতে ছেলে-মেয়ে আছে, তাদের লেখাপড়ার খরচ এবং সংসার খরচ আছে- কীভাবে চলব বুঝতে পারছি না। ধার-দেনা করে চলছি, বেতনের আশায় সেটাও বন্ধ হয়ে গেছে। আমরা অনেক খারাপ পরিস্থিতির মাধ্যমেও কোনো দিন ডিউটি বন্ধ করিনি। ৫ই আগস্টের দিন হাসপাতালে অবস্থা দেখলে বুঝতে পারতেন আমরা কতটা পরিশ্রম করেছি। কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের কাছে আমাদের একটাই দাবি, আমাদের বিষয়টি দ্রুত সমাধান করুন।’ 

এ বিষয়ে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, ‘‘গত বছরের জুন মাসের পর থেকে পরিচ্ছন্নকর্মীদের টেন্ডার শেষ হয়ে গেছে। জুন মাসের পরে তাদের বলা হয়েছে, তাদের চাকরি নেই। নতুন করে আবার যখন টেন্ডার হবে তারপর আবার আমরা কার্যক্রম শুরু করব। তখন তারা বলল, ‘আমরা কাজ করতে থাকি, তারপরে যখন আবার টেন্ডার হবে তখন আমাদের নিয়েন।’ আমরা নতুন করে টেন্ডার করার কার্যক্রম চালাচ্ছি।’’

জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তৌফিকুর রহমান বলেন, ‘তারা কি হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ককে জানায়নি? হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আমাকে কিছু বলেননি। আমি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।’
এটিআর/
Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর