কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হলো ১৪টি দোকান। এতে অন্তত ১০ থেকে ১২ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি মালিকদের। শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার পুলেরঘাট বাজারের গচিহাটা রোডে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
জানা যায়, রাত সাড়ে ৩টার দিকে সোনালী স্টোরে প্রথমে আগুন লাগে এবং ধীরে ধীরে তা আশপাশের দোকানগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। পরে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ও স্থানীয়দের সহায়তায় প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। বৈদ্যুতিক শটসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
দুইঘণ্টা জ্বলা আগুনে বাজারের অর্নব টেলিকম, অনিক টেলিকম, সেলিম টেলিকম এন্ড স্টেশনারী, মাতৃদান স্টোর, ললিতা টেলিকম, কবির টেলিকম, আপন জুয়েলার্স, মোখলেছ স্টোর, আয়শা আলী তেলের ঘর, আয়শা আলী ট্রেডার্স, আল আমিন স্টোর, মেসার্স মোমতাজ স্টোর, মেসার্স ফুরকান স্টোর, আল-আমিনের গুডাউনসহ মোট ১৪টি দোকান পুড়ে ছাই হয়েছে। এতে ১০ থেকে ১২ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন ব্যবসায়ীরা।
আলিফ টেলিকমের মালিক মো. শরিফ মিয়া বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের সঙ্গে সঙ্গেই ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। কিন্তু তারা ঘটনাস্থলে দেরি করে আসে। পানির লাইন ঠিক করে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করতে অনেক সময় নেওয়া হয় ‘
দ্রুত কাজ শুরু করতে পারলে ক্ষয়ক্ষতি আরও কম হতো উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আমার দোকান একদম পুড়ে ছাই হয়ে গেছে, কিছু মাল উদ্ধার করলেও সব মাল লুট করে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আমি এখন সর্বহারা, সরকারের কাছে আকুল আবেদন আমাদের একটু সহযোগিতা করলে দাঁড়াতে পারব।’
পাকুন্দিয়া ফায়ার সার্ভিসের সাব স্টেশন কর্মকর্তা শাহজাহান বলেন, ‘খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কিশোরগঞ্জ সদর, পাকুন্দিয়া এবং কটিয়াদী থেকে তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিভানো শুরু করেন। প্রায় দুই ঘণ্টার মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।’
বিষয়টি তদন্তাধীন আছে বলেও জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।
আব্দুর রউফ ভূঁইয়া/এটিআর