Logo

সারাদেশ

যুবদলের কমিটি গঠন নিয়ে সংঘর্ষ, ব্যালট বাক্স ছিনতাই

Icon

বাগেরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ২১:৩৪

যুবদলের কমিটি গঠন নিয়ে সংঘর্ষ, ব্যালট বাক্স ছিনতাই

ছবি : বাংলাদেশের খবর

বাগেরহাটের মোংলা পৌরসভার তিনটি ওয়ার্ডে যুবদল কমিটি গঠন নিয়ে ব্যাপক সংঘর্ষ, হামলা ও ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে ও দুপুরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

অভিযোগ উঠেছে, পৌর যুবদলের সদস্য সচিব এমএ কাশেমের নেতৃত্বে এসব অপ্রীতিকর কার্যক্রম সংঘটিত হয়। সংঘর্ষে চারজন আহত হয়েছেন এবং একটি ওয়ার্ডে ভোটগ্রহণ সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, মোংলা পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৬টি ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কমিটি গঠন হয়েছে। পূর্ব নির্ধারিত সময় শনিবার (২৫ জানুয়ারি) ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত পৌরসভার ১, ২ ও ৬নং ওয়ার্ডের কমিটি গঠন করার জন্য ভোট গ্রহণ হয়। এর মধ্যে ২ নং ওয়ার্ডের ভোট গ্রহণ হয়েছে শহরের ইসলামী আদর্শ অ্যাকাডেমিতে।

সকালে ভোট চলাকালীন যুবদলের নেতাকর্মীরা এ ওয়ার্ডের সভাপতি প্রার্থী কামালের উপর হামলা করে। তাদের হামলায় কামাল ও তার ছেলে মুক্তাদিরসহ ৪ জন আহত হয়। আহতদের মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ২নং ওয়ার্ডে আহত কামালের পদে নির্বাচিত হয়েছেন দিদারুল আলম দিদার।

এদিকে, ৬নং ওয়ার্ডের ভোট হয়েছে শহরের কবরস্থান রোডের দিগন্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে । দুপুর দেড়টার দিকে পৌর যুবদলের সদস্য সচিব এমএ কাশেমের নেতৃত্বে এ ওয়ার্ডের ব্যালট বাক্স ছিনতাই করা হয়। এ সময় যুবদল নেতা মঞ্জু, কামরুল, মাছুম, শামিম, বাবু, ছগির, ইউনুচ, সোহেল, হোসাইন মোল্লা, হাসান মেহেদী, সেলিম রেজা এমএ কাশেমের সাথে ছিল। এ ঘটনায় বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। ৬নং ওয়ার্ডের ভোট সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি।  

এ ব্যাপারে মোংলা পৌর যুবদলের সদস্য সচিব এম এ কাশেমের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পৌর যুবদলের সভাপতি মাহমুদ রিয়াদ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে যারা দলে ছিল না এবং আওয়ামী লীগের সমর্থক হিসেবে কাজ করেছে, তাদের দিয়ে কমিটি করা হচ্ছিল। তাই যুবদলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা ভোট বন্ধ করার অনুরোধ করেছিল। কিন্তু নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য না শুনে নির্বাচন চালিয়ে গেছেন। এজন্য আমাদের কর্মীরা এটা করেছে।

নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সৈয়দ নাছির আহম্মেদ মালেক বলেন, কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর থেকেই যুবদলের কিছু নেতাকর্মীরা তাদের পছন্দের লোকদের দিয়ে কমিটি করার জন্য ঝামেলা করছিল। পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী সকাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলছিল।

তিনি আরও বলেন, দুপুর দেড়টার দিকে পৌর যুবদলের সদস্য সচিব নেতা এমএ কাশেমের নেতৃত্বে ১০-১২টি মোটরসাইকেলে বেশকিছু মোটরসাইকেলে ভোট কেন্দ্রে আসে। এক পর্যায়ে তারা ৬ নং ওয়ার্ডের ব্যালট বাক্স ছিনতাই করে নিয়ে যায়। ততক্ষণে প্রায় ৮০ শতাংশ ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। আপাতত ৬ নং ওয়ার্ডের ভোট স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তীতে তফসিল ঘোষণা করে এ ওয়ার্ডের কমিটি গঠনের নির্বাচন দেওয়া হবে।

নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ও বাগেরহাট জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম গোরা বলেন, যারা এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরে সাথে আলোচনা করে দলীয় সাংগঠনিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শেখ আবু তালেব/এমবি 

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর