ব্রিজের টোল প্লাজায় ভাঙচুর করায় সমন্বয়কদের জরিমানা

ছাতক (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬:৩৩
-6798b288eaa90.jpg)
সুনামগঞ্জের ছাতকে সুরমা ব্রিজের টোল প্লাজায় ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের বিরুদ্ধে। মোটরসাইকেলের টোল আদায় নিয়ে সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে ছাতক সুরমা ব্রিজে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে ২০/২৫ টি মোটরসাইকেলে করে প্রায় ৪০/৪৫ জন লোক টোল না দিয়ে জোরপূর্বক ব্রিজ দিয়ে যেতে চাইলে তাদের সাথে টোল আদায়কারী, আনসার সদস্যদের কথা কাটাকাটি হয়। মোস্তাকিম আহমদ নামের টোল আদায়কারী তাদের বাধা দেন। মোটরসাইকেলের যাত্রীরা সবাই সমন্বয়ক এবং তারা দোয়ারাবাজার থেকে ছাতক ফিরছিলেন।
টোল নিয়ে ব্রিজের টোল আদায়কারী ও ছাত্র সমন্বয়কদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাকে কেন্দ্র করে সমন্বয়কদের হাতে লাঞ্ছিত হন ব্রিজের টোলপ্লাজার টোল আদায়কারী আব্দুল কুদ্দুছ সরকার ও নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার রাজিব আহমদ।
জানা গেছে, মোটরসাইকেল বহরের পিছনের ব্যক্তি ১০০ টাকা টোল পরিশোধ করেছেন। এরপর উত্তেজিত সমন্বয়করা টোল প্লাজায় ভাঙচুর করেছেন। তারা টোল প্লাজার কাচের গ্লাসের জানালা ভাঙচুর ও ২ জনকে লাঞ্ছিত করেন।
একজন সমন্বয়ক এ ঘটনার ব্যাপারে জানান, তারা বারবার বলেছেন, পিছনে থাকা মোটরসাইকেল আরোহী টোলের টাকা পরিশোধ করবেন। কিন্তু টোলপ্লাজার লোকজন পথ আটকে রেখে তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে ছাতক ক্যাম্প থেকে সেনাবাহিনীর একটি দল ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছেন। এ ঘটনায় সমন্বয়কদের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
টোলপ্লাজার আনসার সদস্য রাজিব আহমদ বলেন, ২০/২৫টি মোটরসাইকেলযোগে প্রায় ৪০-৪৫ জন লোক সমন্বয়ক দাবি করে টোল ছাড়া ব্রিজ পার হতে চাইলে তাদেরকে বাধা দেওয়া হয়। পরে পিছনের একজন ১০০ টাকা টোল দিয়েছেন। একজন টোল দেওয়ায় সাথের অন্যরা ক্ষুব্ধ হয়ে তারা কিছু দূর থেকে ফিরে এসে টোল প্লাজা ভাঙচুর করেন। টোল প্লাজার দায়িত্বে থাকা ২ জনকে লাঞ্ছিত করেছেন। তারা সরকারি সম্পদ ধংস করে এলাকায় ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে।
ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম কিবরিয়া জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে তিনি গিয়েছেন। সেনাবাহিনীর মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তি করা হয়েছে।
ছাতক সেনাক্যাম্পের কর্মকর্তা মেজর আল জাবির জানান, একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়। পরে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে যোগাযোগ করে সমন্বয়কদের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে বিষয়টি নিষ্পত্তি করা হয়।
সেলিম মাহবুব/এমজে