চাঁদপুরে রেল ধর্মঘটে ভোগান্তির শিকার যাত্রীরা
চাঁদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৮ জানুয়ারি ২০২৫, ২০:২৬
ছবি : বাংলাদেশের খবর
রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারির ডাকে সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের রেল ধর্মঘটে চাঁদপুর থেকে দুটি ট্রেনের একটিও ছেড়ে যায়নি। এতে করে চরম ভোগান্তির শিকার হয়েছে কয়েক হাজার যাত্রী। টিকিটের টাকা ফেরত নিয়েছেন অনেক যাত্রী।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় চাঁদপুর স্টেশন মাস্টার মারুফ হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
চাঁদপুর স্টেশন ও চাঁদপুর কোর্ট স্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, অনেক যাত্রী ধর্মঘটের বিষয় না জেনেই স্টেশনে এসেছেন। আবার অনেকেই আগের দিনে কেনা টিকিটের টাকা ফেরত নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন।
জানা গেছে, টিকিট বিক্রি কাউন্টার বড় স্টেশন থেকে দুটি টিকিটের দাম ৬৬৮ টাকা এবং কালিবাড়ি কোর্ট স্টেশন থেকে ১৫টি টিকিটের দাম ৪ হাজার ৩০০ টাকা ফেরত দেওয়া হয়। আর অনলাইনে টিকিট নেয়া এবং টাকা ফেরতের তথ্য এ স্টেশন থেকে পাওয়া যায়নি।
এদিকে, মঙ্গলবার ভোর ৫টায় চাঁদপুর থেকে আন্তঃনগর মেঘনা এক্সপ্রেস চট্রগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়নি। সাগরিকা এক্সপ্রেস ট্রেনও চট্টগ্রাম থেকে চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসেনি। এতে করে দুই ট্রেনের প্রায় ৩ হাজার যাত্রী চরম দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন।
চাঁদপুর স্টেশন মাস্টার মারুফ হোসেন জানান, তৃতীয় শ্রেণির রেলওয়ে স্টাফদের কর্মবিরতি চলছে। চাঁদপুর থেকে প্রায় দুই শতাধিক যাত্রী ট্রেনের টিকিট ক্রয় করেও তাদের গন্তব্যে যেতে পারেনি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ দিয়েছে যাত্রীদের টিকিটের টাকা ফেরত দিতে। ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীদের বাস যোগে তাদের গন্তব্যে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, রেলওয়ের রানিং স্টাফ ছাড়া বাকী স্টাফরা তাদের কর্মস্থলে কাজ করে যাচ্ছেন। এছাড়া চাঁদপুর স্টেশনে মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেন অবস্থান করছে। রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী ও রেলওয়ে পুলিশ সকল নিরাপত্তা জোরদার করে তাদের দায়িত্ব পালন করছেন।
দাবি আদায়ের জন্য কর্মবিরতির জন্য ডাক দিয়েছেন রেলওয়ের লাকো মাস্টার (ড্রাইভার), ট্রেন পরিচালক (গার্ড) ও টিটি (টিকেট পরিদর্শক)। সোমবার রাত থেকে এ কর্মবিরতি তারা পালন করে যাচ্ছেন।
চাঁদপুরসহ এ পথের সকল স্থানে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী ও রেলওয়ে পুলিশ তাদের সকল প্রকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে রেখেছেন বলে জানিয়েছেন রেলওয়ে চাঁদপুর থানার ওসি ও নিরাপত্তা বাহিনীর উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শাহাদাত হোসেন।
আলআমিন ভূঁইয়া/এমবি