মতবিরোধ নিয়েই আলেমদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : ধর্ম উপদেষ্টা
বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:১৬
ছবি : বাংলাদেশের খবর
মুসলমানদের বিভক্ত করার ষড়যন্ত্র চলছে বলে মন্তব্য করেছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। তিনি বলেন, আলেমদের মধ্যে মতবিরোধ থাকবে। মতবিরোধ নিয়েই আলেমদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম প্যারেড ময়দানে ইসলামী সমাজ কল্যাণ পরিষদের পাঁচদিন ব্যাপী তাফসীরুল কুরআন মাহফিলের সমাপনী দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, মাজহাব, দল, মতের ভিন্নতা থাকতে পারে। কিন্তু কুরআনের ছায়াতলে আমরা এক ও অভিন্ন। মুসলমানদের বিভক্ত করার ষড়যন্ত্র চলছে। এ ব্যাপারে সজাগ থেকে উম্মতের ঐক্য ধরে রাখতে হবে। বাংলাদেশে আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারলে নতুন সূর্য উদিত হবে।
তিনি আরও বলেন, শুধুমাত্র ভোটের ঐক্য নয়, আমরা কাছাকাছি আসতে পারলে তা সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। আলেমরা দেশ চালালে এ দেশ সোনার দেশে পরিণত হবে।
ড. খালিদ হোসেন বলেন, আমি দায়িত্ব নেয়ার পর হজের বিমান ভাড়া ১ লক্ষ ৯৭ হাজার টাকা থেকে ১ লক্ষ ৬৭ হাজার টাকায় নামিয়ে এনেছি। আমরা চেয়েছিলাম পানির জাহাজে কিছু হাজী পাঠানোর। সৌদি সরকার অনুমতি দিলেও দেশে জাহাজ নেই। ২০২৬ সালে পানির জাহাজে হাজী পাঠাতে প্রাণপণ চেষ্টা করা হবে।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ইসলামীক ফাউন্ডেশনে ধার্মিক, পরহেজগার ব্যক্তিদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে। গত ১৬ বছরে ইসলামীক ফাউন্ডেশনে যারা নয়ছয় করেছে হাইকোর্টের বিচারপতির নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, একদিনে পরিষ্কার করা সম্ভব না হলেও আমরা ১৬ বছরের জঞ্জাল পরিষ্কারের কাজ শুরু করে দিয়েছি। আমরা পর্যায়ক্রমে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসাগুলোকে জাতীয়করণ করে দিবো।
নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, আগামীতে ঐতিহাসিক নির্বাচন হবে। দিনের ভোট দিনেই হবে। যার যাকে পছন্দ তাকেই ভোট দিবেন। কোনো কেন্দ্রে ভোট কারচুপি হলে সাথে সাথে ভোট বন্ধ করে দেয়া হবে। আমরা বৈষম্যহীন, ইনসাফভিত্তিক দেশ গড়তে চাই।
মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী সমাজ কল্যাণ পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ মো. তাহের। এতে প্রধান মুফাসসির হিসেবে তাফসীর পেশ করেন ইসলামীক স্কলার ড. মিজানুর রহমান আজহারী।
নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় মাহফিলে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক এমপি শামসুল ইসলাম, শাহজাহান চৌধুরী, আওলাদে রাসুল (সা.) আনোয়ার হোসাইন তাহেরী জাবেরী আল মাদানী, প্রফেসর ড. আবু বকর মো. রফিক, মাওলানা শামীম সাঈদী, ড. বি এম মুফিজুর রহমান আজহারী, অধ্যক্ষ মুজাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
মাহফিলের প্রধান মুফাসসীর ড. মিজানুর রহমান আজহারী তার আলোচনার শুরুতে মাওলানা দেলওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যু ‘মেডিকেল কিলিং নাকি স্বাভাবিক মৃত্যু’ তা তদন্ত করে জাতির সামনে পরিষ্কার করতে আহ্বান জানান।
তাফহীমুল ইসলাম/এমবি