-679dc569d75bd.jpg)
ঘন কুয়াশার কারণে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ৭টি গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। এতে অন্তত ৩০ যাত্রী আহত হয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্যে প্রাণহানির কোনো ঘটনা ঘটেনি।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রংপুরের মিঠাপুকুরের গড়ের মাথা মোড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনা কবলিত পরিবহনগুলোর মধ্যে দুটি যাত্রীবাহী বাসসহ ট্রাক, পিকআপ ও কাভার্ডভ্যান রয়েছে। গাড়িগুলো ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে।
বড়দরগাহ হাইওয়ে পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা এসব পরিবহন রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের মিঠাপুকুরের গড়ের মাথায় কুয়াশার কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। এ সময় দুটি বাস, একটি ট্রাক, পিকআপ ও কাভার্ডভ্যান একে অপরকে ধাক্কা দেয়। এতে কয়েকটি পরিবহনের সামনের গ্লাস ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ দুর্ঘটনায় অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে কয়েকজনকে গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
বড়দরগা হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ মো. মনিরুজ্জামান বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত পরিবহনগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আহত কয়েকজন যাত্রীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
তিনি আরও জানান, মহাসড়কের ওপর দিয়ে প্রতিদিন বালু ও মাটিবাহী পরিবহন চলাচল করে। ঘটনাস্থলে মাটি পড়ে সড়কটি ঘন কুয়াশায় পিচ্ছিল হয়ে পড়ে। একইসঙ্গে কুয়াশায় দৃষ্টিসীমা কমে আসায় হয়ত চালকরা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একে একে ধাক্কা দেয়।
এ বিষয়ে হাইওয়ে পুলিশ রংপুর রিজিয়ন সুপার মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘২০২৪ সালে রংপুরে জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে ১৯৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে পুরুষ ১২০, নারী ২২ ও শিশু ছিল চারজন। এসব দুর্ঘটনায় মামলা হয়েছিল ১৫২টি। শীত মৌসুমে ঘন কুয়াশায় সড়ক ও মহাসড়কে মৃত্যু ঝুঁকিসহ দুর্ঘটনা এড়াতে চলাচলের সময় গতি নিয়ন্ত্রণ ও ট্রাফিক আইন মেনে চলতে সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।’
রংপুরের জেলা প্রশাসক রবিউল ফয়সাল বলেন, ‘তীব্র শীতের কারণে হতদরিদ্র মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। রংপুর জেলায় হতদরিদ্র মানুষের সংখ্যা প্রায় সাড়ে তিন লাখ।’
আরকে/এমবি/এমআই