কুমিল্লায় যুবদল নেতার মরদেহ নিয়ে এলাকাবাসীর মানববন্ধন
কুমিল্লা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৬:০১
ছবি : বাংলাদেশের খবর
কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার পাচথুবী ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক তৌহিদুর রহমানকে নৃশংসভাবে হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুুরে নিহত তৌহিদুর রহমানের বাড়ি থেকে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সযোগে মরদেহ নিয়ে কুমিল্লা প্রেসক্লাবে নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় ঘটনার সাথে জড়িতদের বিচার দাবি করা হয়।
বিচার দাবিতে বক্তব্য দেন- নিহত যুবদল নেতা তৌহিদুল ইসলামের স্ত্রী ইয়াসমিন নাহার।
তিনি বলেন, ‘আমার স্বামী কোনো সন্ত্রাসী ছিল না। তাকে কেন এভাবে মারা হলো? আমি ৪ সন্তান নিয়ে বিধবা হলাম।’
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন তৌহিদুরের সাথে আটক হওয়া প্রতিবেশী লুৎফুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘তৌহিদকে এমনভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। যার কারণে উঠে দাঁড়াতে পর্যন্ত পারেনি।’
মানববন্ধনে তৌহিদুলের ভাগ্নি গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রফেসর মাহবুবা উদ্দিন বলেন, ‘ঘটনার শুরু থেকে এ পর্যন্ত দফায় দফায় আমরা কুমিল্লা সেনানিবাসের সিনিয়র কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছি। তারা পুরো ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও ঘটনার সাথে জড়িতদের সেনা আইনে বিচারের আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা যদি ন্যায় বিচার না পাই তাহলে বিধি অনুসারে আইনগত পদক্ষেপ নেব।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুমিল্লা মহানগর শাখার সদস্য সচিব রাশেদুল হাসান বলেন, ‘ঘটনার পর থেকে আমরা এ বিষয়ে অনেকের সাথে কথা বলেছি, সেনাবাহিনী জুলাই আগস্ট আন্দোলনে জনতার সাথে মধুর সম্পর্ক রেখে দেশের জন্য কাজ করেছে। এভাবে কোনো নিরপরাধ ব্যক্তির মৃত্যু আমাদের কষ্ট দেয়। আশা করি ওই ব্যক্তির পরিবার এর বিচার পাবে।’
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) গভীর রাতে যৌথবাহিনীর পরিচয়ে কিছু সেনা সদস্য ও সিভিলে থাকা ব্যক্তি তৌহিদকে বাড়ি থেকে তুলে নেয়। তিনি জেলার আদর্শ সদর উপজেলার পাঁচথুবি ইউনিয়নের ইটাল্লা গ্রামের মৃত মোখলেছুর রহমানের ছেলে। তিনি ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক ছিলেন। রাজনীতির পাশাপাশি সে চট্টগ্রামে একটি বেসরকারি শিপিং কোম্পানিতে চাকরি করতো। চার দিন আগে বাবা মারা যাওয়ার খবরে সে বাড়ি এসেছিল।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে তাকে কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশে সোপর্দ করার পর কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তৌহিদের স্ত্রী ও স্বজনদের অভিযোগ মরদেহ গোসল করানোর সময় তার শরীরের আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে।
সেহাইবুল ইসলাম সোহাগ/এমআই