বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় বিভিন্নভাবে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে প্রায় ২৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া দিনের পর দিন নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ তুলে স্বামী আলামিন শেখের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী ওই নারী।

রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে শেরপুর প্রেসক্লাব কর্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন ভুক্তভোগী বলেন, ‘গত ৫ জুন ২০২২ সালে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার সেকাড়া গ্রামের হানিফ উদ্দিনের ছেলে আলামিন শেখের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই। বিবাহিত জীবনে একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। ছেলের ভবিষতের কথা বলে বিভিন্ন সয়ম ব্যবসার নামে গয়না বন্ধক রেখে টাকা, বসতবাড়ি ব্যাংকে বন্ধক রেখে টাকা উত্তোলন, টিমএসএস ও গাক এবং গ্রামীণশক্তি এনজিও থেকে মোট ২৮ লাখ টাকা নিয়ে নিখোঁজ হয়। আমাকে তালাক দেয়।’

ওই নারী বলেন, ‘পরবর্তীতে আমি তার খোঁজ নিয়ে জানতে পারি সে তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। আমি আইনের আশ্রয় নিতে চাইলে সে আবারও ছেলের ভবিষতের কথা বলে পুনরায় ২৪ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখে বিয়ে করে আমাকে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। দ্বিতীয়বার বিয়ের পর আমাকে ফাঁসাতে স্বামী-স্ত্রীর বিশেষ মুহূর্তের ভিডিও এবং ছবি দিয়ে এডিট করে ফেসবুকে ছেড়ে দিয়ে আমাকে ব্লাকমেইল করে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি বিভিন্ন মাধ্যমে খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারি, আমার স্বামী বিভিন্ন মেয়েদের সাথে বিয়ের নামে প্রতারণ করে আসছে এবং আমাকে বিয়ে করার আগেও তার ২ স্ত্রী ছিল। সে বিষয়ও আমাদের পরিবারে নিকট গোপন রেখে আমাকে বিয়ে করে। নতুন করে সংসার জীবন শুরু করার কিছুদিন পরে আবার টাকা চায়। কিন্তু আমি টাকা দিতে অস্বীকার করায় আমাকে বিভিন্নভাবে শারীরিক নির্যাতন শুরু করে। আমি নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আমার বাবার বাড়িতে চলে আসি।’

‘এরপর জানতে পারি দ্বিতীয়বার বিয়ে করার ১২দিন পর গোপনে আমার স্বামী আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন কিছু উদ্ধার চেয়ে মামলা দায়ের করে। সেই সময় আমি তার বাড়ীতেই বসবার করি। তার সঙ্গে কোনে দ্বন্দ্ব ছিল না। এসব বিষয় নিয়ে দুটি পরিবারের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। আমাকে বাড়িতে তাড়িয়ে দেয়। পরবর্তীতে আমি আইনের আশ্রয় নেই।’

ভুক্তভোগী আরও বলেন, ‘আইনের আশ্রয় নেওয়ার পর আমাকে বিভিন্নভাবে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে আসছে। আমি জীবন নিয়ে শঙ্কায় ভুগছি। আমি জানি সাংবাদিক জাতির বিবেক। তাই সাংবাদিক ভাইদের লিখনির মাধ্যমে প্রশাসনসহ সকলের কাছে আকুল আবেদন অতি দ্রুত সুষ্ট তদন্ত করে ন্যায্য বিচারের দাবি করছি।’

আব্দুল ওয়াদুদ/এমজে