Logo

সারাদেশ

সংবাদ সম্মেলন

রাজনৈতিক মামলা দিয়ে তাবলীগের মুরব্বিকে হয়রানি

Icon

সিলেট ব্যুরো

প্রকাশ: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৭:৪৩

রাজনৈতিক মামলা দিয়ে তাবলীগের মুরব্বিকে হয়রানি

পাওনা টাকা না দিতে তাবলীগের এক মুরুব্বিকে রাজনৈতিক মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে শালা-দুলাভাইয়ের বিরুদ্ধে। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন সিলেটের বিয়ানীবাজার পৌরশহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বয়োজ্যেষ্ঠ জয়নুল ইসলাম (জবু)।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত বছরের শুরুতে তিনি তার ভায়রার ছেলেকে বিদেশ পাঠানোর জন্য বিয়ানীবাজারের মুড়িয়া ইউনিয়নের কোনাগ্রামের মৃত ছিদ্দেক আলীর ছেলে ও নাবিহা ট্রেডিং করপোরেশনের স্বত্বাধিকারী বদরুল ইসলামকে বিভিন্ন সময় ঋণ করে ব্যাংকের মাধ্যমে সাড়ে ৭ লাখ টাকা প্রদান করেন। কিন্তু কথা অনুযায়ী ৩ মাসের মধ্যে জবুর আত্মীয়কে বদরুল বিদেশ পাঠাতে পারেননি। 

এ অবস্থায় ঋণদাতারা জবুকে টাকার জন্য একের পর এক চাপ দিতে থাকলে নিজের সম্মান বাঁচাতে তিনি নিজের পক্ষ থেকে ঋণদাতাদের টাকা পরিশোধ করেন। কিন্তু বদরুলের কাছে টাকা চাইতে গেলে তিনি নানা টালবাহানা করতে থাকেন। একপর্যায়ে এলাকায় বিষয়টি নিয়ে সালিশ ডাকা হলে এতে বদরুল উপস্থিত না হয়ে নানাভাবে জবুকে হুমকি দিতে থাকেন। এ পরিস্থিতিতে গত বছরের ১৬ এপ্রিল বদরুলের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন জয়নুল ইসলাম জবু।

তাবলীগের এই মুরুব্বি সংবাদ সম্মেলনে আরও জানান, গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর অক্টোবরে বদরুল তার শালা নাজমুল ইসলাম চৌধুরী তাজিমকে দিয়ে দায়েরকৃত মামলায় ২১ নম্বর আসামি করেন জবুকে। যেটি টাকা না দেওয়ার জন্য হয়রানিমূলক মামলা। কারণ জয়নুল ইসলাম কখনো আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। পুরো জীবনই কাটিয়ে দিয়েছেন তাবলীগে। এ ছাড়া জয়নুলের আপন ভাই শিহাবুল ইসলাম পৌর জামায়াত নেতা।

সংবাদ সম্মেলনে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করে বদরুল ও তার শালা তাজিমের শাস্তি দাবি করেন তাবলিগের মুরব্বি জয়নুল ইসলাম জবু।

এ বিষয়ে মামলার বাদী নাজমুল ইসলাম চৌধুরী তাজিম মুঠোফোনে বলেন, ‘মামলায় যারা আসামি হয়েছেন তাদের অনেককে আমি চিনি না। আমার দুলাভাই (বদরুল) নাম যুক্ত করেছেন, আমিও করেছি। হয়তো এভাবে তার (জয়নাল) নাম ঢুকে যেতে পারে। আমি আমার দুলাভাইকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করব।’

জয়নুল ইসলাম জবু জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে কোনো হামলায় বা নাশকতায় অংশগ্রহণ করেছেন এমন কোনো ছবি বা ভিডিও আছে কি না- এমন প্রশ্ন করলে তাজিম ফোন কেটে দেন। পরে কল দিলেও তিনি আর রিসিভ করেননি।

রেজাউল হক ডালিম/এমজে

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর