সাহাবিকে নিয়ে কটূক্তি : ক্ষমা চাওয়ায় সিলেটে অবরোধ প্রত্যাহার
প্রকাশ: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:৩৩
দরগাহ মাদ্রাসা মিলনায়নতনে বৈঠকে সাবেক মেয়র আরিফসহ শীর্ষ আলেমরা | ছবি : বাংলাদেশের খবর
বিখ্যাত সাহাবি হজরত আমিরে মুয়াবিয়া (রা.) এবং শায়েখ আব্দুল্লাহ হরিপুরিসহ (রহ.) মরহুম আলেমদের নিয়ে কটূক্তির জেরে বৃহ্ত্তর জৈন্তার আলেমসমাজের সঙ্গে সৃষ্ট বিরোধের অবসান হয়েছে। ফলে আজ (বৃহস্পতিবার) সিলেট-তামাবিল সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করেছেন স্থানীয় আলেমসমাজ ও তাওহিদি জনতা।
বাংলাদেশের খবরকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন হরিপুর মাদরাসার শিক্ষক ও শায়খ আব্দুল্লাহ হরিপুরির দৌহিত্র মাওলানা হুযাইফা আল হিলাল।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় সিলেট শহরের জামিয়া ক্বাসিমুল উলুম দরগাহ মাদরাসা মিলনায়তনে উভয়পক্ষের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত হয়ে কটূক্তিকারীরা ক্ষমা চেয়েছেন। ফলে আমাদের মুরব্বি হজরাত ঘোষিত কর্মসূচিগুলো প্রত্যাহার করেছেন।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, দরগাহ মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা মাশুক আহমদ, কানাইঘাট মারাসার নাইবে শায়খুল হাদিস মাওলানা শামসুদ্দিন সাহেব দুর্লভপুরি, হরিপুর মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা হিলাল আহমদ, ধনুকান্দি মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা মোশতাক আহমদ খান, হেমু মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা জিল্লুর রহমান, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী, সোবহানিঘাট মাদরাসার মাওলানা আহমদ কবির, লামনীগ্রাম মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা আব্দুল জব্বার, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হুসেন চতুলি প্রমুখ।
আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘কটূক্তিকারীরা ক্ষমা চেয়েছেন। সুন্দর সমাধান হয়েছে। এই বৈঠকের পর থেকে আর এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে পারবেন না। করলে বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এর আগে, জামায়াতে ইসলামীর মতাদর্শী স্থানীয় বক্তা মাওলানা হুদ সম্প্রতি এক মাহফিলে সাহাবি হজরত আমিরে মুয়াবিয়াকে (রা.) নিয়ে কটূক্তি করেন। জৈন্তার আলেমরা এর প্রতিবাদ করায় হুদের অনুসারীরা ফেসবুকে কটূক্তি করতে থাকেন।
বিশেষ করে কানাইঘাট উপজেলার ৭নং বানীগ্রাম ইউনিয়নের বড়দেশ উত্তর এলাকার জামাল হুসাইন ও তার সহযোগীরা ফেসবুকে প্রতিবাদকারী আলেম এবং বৃহত্তর সিলেটে তাদের বরেণ্য অনুসারীদের নিয়েও কটূক্তি করেছেন। মূলত এর প্রতিবাদেই বৃহত্তর জৈন্তার তৌহিদি জনতা ও আলেমসমাজ বিক্ষুব্ধ হন।
এ অবস্থায় সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) জৈন্তার তাওহিদি জনতার উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ থেকে কটূক্তিকারীদের ৪৮ ঘণ্টার সময় বেঁধে দেন আলেমসমাজ ও তাওহিদি জনতা। এর মধ্যে কটূক্তিকারীরা প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাইলে বৃহস্পতিবার সারাদিন সিলেট-তামাবিল সড়ক অবরোধের ডাক দেন তারা।
তবে, তবে বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সাবেক সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর অনুরোধ এবং অপরাধীদের ক্ষমা চাওয়ার আশ্বাসে অবরোধ বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত স্থগিত করেন। অবশেষে বৃহস্পতিবার সকালে কটূক্তিকারীরা নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ায় সব কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়েছে।