Logo

সারাদেশ

চিলাহাটি রেলস্টেশন আধুনিকীকরণে অনিয়মের অভিযোগ

Icon

নীলফামারী প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৬:৩১

চিলাহাটি রেলস্টেশন আধুনিকীকরণে অনিয়মের অভিযোগ

ছবি : বাংলাদেশের খবর

নীলফামারীর চিলাহাটি রেলস্টেশন আধুনিকীকরণের কাজ নিয়ে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি ওয়াসফিড নির্মাণের কাজ চলাকালে একাধিক পিলারে ফাটল দেখা দেয়। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, নির্মাণ কাজ শুরুর দিন থেকেই নিম্নমানের রড, সিমেন্ট, খোয়া, পাথর, বালু ব্যবহার করা হচ্ছে। 

শুরু থেকে ভাঙাচোরা অবস্থায় জোড়াতালি দিয়ে এবং একই কাজে বিভিন্ন ধরনের নিম্নমানের রড ব্যবহার করায় স্থানীয়রা গত ২৮ জানুয়ারি বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিদর্শক ফরিদ আহমেদের কাছে অভিযোগ করেন। কিন্তু এতে কোনো সুফল আসেনি।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, চিলাহাটি রেলস্টেশনে ৪০০ মিটার দৈর্ঘ্য ওয়াসফিট নির্মাণ কাজের জন্য ২১ কোটি ৯৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে রেল মন্ত্রণালয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ক্যাসেল কোম্পানি জানুয়ারি ২০২৩ সালে নির্মাণ কাজ শুরু করেন। কাজের সময় প্রথমে এক বছরের বিপরীতে সময় বৃদ্ধি করে দুই বছর করা হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা হাফিজুর রহমান খোকা, ইসমাইল হোসেন ও বিপ্লবী সুমনসহ অনেকে জানান, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ক্যাসেল কোম্পানি ওয়াসফিড নির্মাণের শুরু থেকে নিম্নমানের কাজ করে আসছে। তারা অধিকাংশ সময় রাতের আঁধারে ঢালাইয়ের কাজ করতে দেখা গেছে। রাতের আধারে নিম্নমানের (রড, সিমেন্ট, খোয়া, বালু, পাথর) কাজ করায় নির্মাণ কাজ চলাকালে ওয়াসফিটের অধিকাংশ পিলারে ফাটল দেখা গেছে। যা বালু ও সিমেন্ট দিয়ে ফাটলের জায়গা গুলি ঢেকে রেখেছে।

তারা আরও জানান, এ কাজের সময়ে কোথাও ১২ মিলি ও কোথাও ১০ মিলি রড ব্যবহার করে ইচ্ছেমতো কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। যে রোডগুলো ব্যবহার করা হয়েছে তা নিম্নমানের। এ ছাড়া ২নং প্লাটফর্মের নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কয়েকদিন পর বিভিন্ন জায়গায় ফাটল ধরেছে। বিশেষ করে যাত্রী সেবার জন্য নির্মিত ছোট আকারের যাত্রীসেড যথাযথভাবে তৈরি না হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ক্যাসেল কোম্পানির প্রকল্প ম্যানেজার সালেমান হোসেন বলেন, প্রকল্পের শিডিউল মাফিক কাজ চলছে। দুইটি পিলারের জয়েন্ট এর স্থানকে ফাটল বলা হচ্ছে। আসলে এটা ঠিক নয়।

রেলওয়ের প্রকল্প পরিচালক আব্দুর রহিম বলেন, যেখানে রডের সমস্যার কথা বলা হচ্ছে, সেখানে অতিরিক্ত রড ব্যবহার করা হয়েছে। পিলারের জয়েন্টকে ফাটল বলা হচ্ছে। এগুলো পরীক্ষা নিরীক্ষার কাজ চলমান আছে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের সাথে ভারতের রেল যোগাযোগ স্থাপনের জন্য চিলাহাটি রেল স্টেশনকে আধুনিকীকরণ করার লক্ষ্যে প্রথম ধাপে ৮০ কোটি, দ্বিতীয় ধাপে তা বৃদ্ধি করে ১৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। ২০১৯ সালের শেষের দিকে কাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স কোম্পানি। ইতিমধ্যে আইকনিক ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ। বাকি কাজগুলো আংশিক বাকি রয়েছে।

গত ২৮ জানুয়ারি বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিদর্শক ফরিদ আহমেদ চিলাহাটি রেলস্টেশন পরিদর্শনকালে স্থানীয়রা আইকনিক ভবনের ফাটল ও নবনির্মিত ওয়াসফিটের পিলারের ফাটলসহ নিম্নমানের কাজের অভিযোগ করেন।

তৈয়ব আলী সরকার/এমবি 

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর