যমুনা রেলসেতুতে পরীক্ষামূলক যাত্রবাহী ট্রেন চলাচল শুরু

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৮:৩৭
-67ac95f533ca2.jpg)
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর যমুনা নদীর উপর অত্যাধুনিক স্টিল প্রযুক্তির তৈরি দেশের বৃহৎ রেলওয়ে সেতুতে শুরু হয়েছে যাত্রবাহী ট্রেন চলাচল। রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা সিল্ক সিটি এক্সপ্রেস ট্রেন পার হওয়ার মধ্য দিয়ে বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হলো দেশের দীর্ঘতম এই রেল সেতুতে।
এর মধ্য দিয়ে ইতি ঘটল যমুনা বহুমুখী সেতুতে ট্রেন চলাচলের। আগামী ১৮ মার্চ সেতুটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সেতু দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ায় উত্তরবঙ্গের মানুষের দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবসান ঘটল।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা সিল্ক সিটি ট্রেনটি ১১টা ২০ মিনিটে সেতুর সিরাজগঞ্জ প্রান্ত থেকে ১১টা ৩০ মিনিটে টাঙ্গাইল প্রান্তে আসে। এ ছাড়াও বুড়িমারী এক্সপ্রেস ১১টা ৩৮ মিনিটে টাঙ্গাইল প্রান্ত ত্যাগ করে।
জাপান-বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে দেশি-বিদেশি প্রকৌশলীদের তত্ত্বাবধানে যমুনা নদীর উপর নির্মিত দেশের দীর্ঘতম রেলওয়ে সেতুর অবকাঠামোগত নির্মাণকাজ শেষে বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলাচল সম্পন্ন হয়েছে।
সেতুটি আনুষ্ঠানিকভাবে চালুর পর উভয়প্রান্তের স্টেশনে রেল ক্রসিংয়ের সময় বাঁচানোর পাশাপাশি ব্যবসা বাণিজ্যেও আরও গতি ফিরবে বলে আশা করা হচ্ছে।
৯ হাজার ৭৩৪ কোটি ৭ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই রেলসেতুর কাজ শুরু ২০২০ সালের আগস্টে। পরে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে ১২ হাজার ১৪৯ কোটি ২ লাখ টাকা ঋণ দিয়েছে জাইকা। প্রায় সহশ্রাধিক দেশি-বিদেশি প্রকৌশলী আর শ্রমিকদের অক্লান্ত পরিশ্রমে ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতু নির্মাণকাজ শেষ হয় গত বছরের সেপ্টেম্বরে।
এরপর ৫ জানুযারি থেকে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল শুরু হয় ৪০ কিলোমিটার থেকে ১২০ কিলোমিটার গতিতে। যমুনা রেলসেতুতে দুটি লাইন থাকলেও প্রথমে একটি লাইন দিয়ে উভয় দিকে ট্রেন চলাচল করবে।
যমুনা সেতু পূর্ব ইব্রাহিমাবাদ রেলস্টেশনের মাস্টার মো. শাহীন মিয়া বলেন, ১২০ কিলোমিটার গতির ধারণ ক্ষমতা থাকলেও উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ৫০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলছে। অনুমতি পেলে গতি আরও বাড়ানো হবে। সব ট্রেনই এখন নতুন রেল সেতু দিয়ে চলবে।
রেজাউল করিম/এমজে