Logo

সারাদেশ

ক্ষমতায় গেলে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করব : তারেক রহমান

Icon

মাল্টিমিডিয়া কক্রপেন্ডেন্ট, লালমনিরহাট

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:২২

ক্ষমতায় গেলে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করব : তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, স্বৈরাচার সরকার ভারতের কাছে তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় করতে পারেনি। যে কারণে উত্তরাঞ্চলের তিস্তা এলাকা মরুভূমি হতে যাচ্ছে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে তিস্তার পানির হিস্যা আদায়ে জাতিসংঘের কাছে যাবে এবং তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবে।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের ৪৮ ঘণ্টার লাগাতার জনতার সমাবেশ কর্মসূচির সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনাকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ৫ আগস্ট যে স্বৈরাচার ভারত পালিয়ে গেছেন, সেই খুনি প্রায় বলতেন- ভারতকে যা দিয়েছি ভারত তা কোনো দিন ভুলতে পারবে না। আজ ভারত শেখ হাসিনাকে ঠিকই ভুলে যায়নি। ভারতের সম্পর্ক ছিল শেখ হাসিনার সাথে, বাংলাদেশের সাথে নয়।

তারেক রহমান বলেন, দুয়েকজন উপদেষ্টা জাতীয় নির্বাচন নিয়ে একেক রকম বক্তব্য দিচ্ছেন, সে কারণে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। যেন ফ্যাসিবাদ আবার পুণঃপ্রতিষ্ঠিত না হয়। পাশাপাশি সরকার কোনো হটকারী সিদ্ধান্ত যেন নিতে না পারে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আন্তর্জাতিক আইন মতে তিস্তার পানি আমাদের অধিকার। প্রতিবেশি দেশের অপ্রতিবেশী আচারণের কারণে আজ আমরা আমাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত। আজ ৫০ বছর হলো ফারাক্কায় পানির অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। ফলে তিস্তাসহ অনেক নদী এখন ধুধু বালুচর। এতে প্রতি বছর যেমন ৩-৪ বার বন্যা হয় তেমনি লক্ষকোটি টাকার ক্ষতি হয়।

তারেক রহমান আরও বলেন, ১৬ বছরে নদী কমিশনকে অকার্যকর করে রাখা হয়েছে প্রতিবেশী ভারতের স্বার্থে। আমরাও প্রতিবেশী দেশের সাথে ভালো সম্পর্ক রাখতে চাই, তবে সেই সম্পর্ক হবে দেশের স্বার্থে। ভারত যদি আমাদের পানির ন্যায্য অধিকার না দেয়, তাহলে দেশের সবাইকে সাথে নিয়ে বিকল্প ব্যবস্থা করব এবং জাতিসংঘের কাছে যাব।

তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে উত্তরাঞ্চলের লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলার তিস্তা পাড়ের ১১টি পয়েন্টে দুই দিনব্যাপী জনতার সমাবেশ কর্মসূচি পালন করেছে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন নামে একটি সংগঠন। এ সমাবেশগুলোতে লক্ষ লক্ষ মানুষ অংশগ্রহণ করেন। যার প্রধান সমন্বয়কারী বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু। দুই দিনব্যাপী এ কর্মসূচির ১৭ ফেব্রুয়ারি সোমবার দুপুরে উদ্বোধন করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ১১টি পয়েন্টের বিভিন্ন স্থানে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন বীর বিক্রম, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, জাতীয় পার্টি (জেপি) সভাপতি মোস্তফা জামাল হায়দার, বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু।

রাহেবুল ইসলাম টিটুল/বিএইচ

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর