জরিমানা-অভিযানের পরও চলছে সাবেক জনপ্রতিনিধির ইটভাটা

বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৮:৫৫
-67b5d4d44f59d.jpg)
ছবি : সংগৃহীত
চট্টগ্রামের চন্দনাইশের সংরক্ষিত বনাঞ্চলে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে ইটভাটা। এসব ইটভাটার অধিকাংশের নেই কোনো বৈধতা। প্রশাসনের চোখের সামনে অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম অব্যাহত থাকায় পরিবেশের উপর ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
পাহাড়ি মাটি ব্যবহার এবং বনাঞ্চলের গাছ নির্বিচারে কাটার ফলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। পাশাপাশি আশপাশের ফসলি জমির উর্বরতা কমে যাচ্ছে, যা কৃষিতে মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, চন্দনাইশের পাহাড় ও সমতলে ৩১টি ইটভাটা চালু রয়েছে, যার মধ্যে বৈধ কেবল ৬টি, বাকি ২৫টি সম্পূর্ণ অবৈধ। এদের মধ্যে অন্যতম হলো উপজেলার জোয়ারা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান পলাতক আমিন আহমেদ রোকনের মালিকানাধীন মেসার্স শাহ আলী রজা (র.) ব্রিকস (এসএবি) ম্যানুফ্যাকচারার্স।
২০২৩ সালের ৪ মার্চ বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের (বিএইচআরএফ) ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল চন্দনাইশের কাঞ্চনাবাদে অবৈধ ইটভাটাগুলো পরিদর্শন করে। এ সময় দেখা যায়, আমিন আহমেদ রোকনের ইটভাটাসহ অন্যান্য অবৈধ ইটভাটা পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করছে।
এরপর, ১২ মার্চ পরিবেশ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় উপজেলা প্রশাসন অভিযান চালিয়ে এসএবি ইটভাটাকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করে। ২২ মে বিএইচআরএফের পক্ষ থেকে অবৈধ ইটভাটা বন্ধের নির্দেশনা অমান্য করায় আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। ২৯ মে প্রশাসন এসএবি ইটভাটার চিমনি এস্কেভেটর দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়।
তবে, প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেওয়ার পরও পলাতক আমিন আহমেদ রোকন তার ইটভাটার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। একই সঙ্গে অন্যান্য অবৈধ ইটভাটার মালিকরাও তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
বিএইচআরএফ অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে এসব অবৈধ ইটভাটা বন্ধ এবং পরিবেশ রক্ষার জন্য "ইট প্রস্তুত ও ইটভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন" কার্যকর করার দাবি জানিয়েছে।
এএইচএস/এমআই