রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে অকেজো সোলার লাইট, সড়কে বাড়ছে দুর্ঘটনা

পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২০:১২

ছবি : বাংলাদেশের খবর
চট্রগ্রামের পটিয়ায় বাইপাস সড়কে বসানো সোলার লাইটগুলো দীর্ঘদিন ধরে অকেজো হয়ে আছে। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে অধিকাংশ লাইট কার্যকর হয়ে গেছে। কিছু কিছু স্থানে খুঁটি দাঁড়িয়ে থাকলেও বাতি নেই, আবার কিছু স্থানে বাতি থাকলেও আলো জ্বলছে না।
স্থানীয়দের অভিযোগ, নিম্নমানের সৌর প্যানেল ও অন্যান্য যন্ত্রাংশ ব্যবহারের কারণে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। তারা জানান, নিয়ম অনুযায়ী স্ট্রিটলাইটগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কারের কথা থাকলেও তা সঠিকভাবে করা হয়নি। নিম্নমানের যন্ত্রাংশ সংযোজন করে একটি সিন্ডিকেট বরাদ্দের বড় অংশ আত্মসাৎ করেছে, ফলে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে বসানো বাতিগুলো অকেজো হয়ে পড়ে আছে। এ অবস্থায় ছিনতাইসহ নানা দুর্ঘটনা বাড়ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার বাইপাস প্রবেশ পথ থেকে শুরু করে গিরিস চৌধুরী বাজার পর্যন্ত মহাসড়কের অধিকাংশ স্ট্রিটলাইট অকেজো। কিছু জায়গায় খুঁটিগুলো দাঁড়িয়ে থাকলেও বাতিগুলো উধাও হয়ে গেছে। বেশ কিছু বাতি দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট হয়ে পড়ে রয়েছে।
এ বিষয়ে কক্সবাজার থেকে আসা শ্যামলী পরিবহনের চালক করিম উদ্দিন বলেন, ‘চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ বাইপাস সড়কে লাইট না থাকার কারণে প্রতিদিন দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালাতে হয়। অন্ধকারে ঠিকমতো পথ দেখা যায় না, যা মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ।’
স্থানীয় ব্যবসায়ী রমজান আলী বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হচ্ছে রাস্তার ত্রুটি ও অব্যবস্থাপনা। ইন্দ্রপুল থেকে গিরিস চৌধুরী বাজার পর্যন্ত স্ট্রিটলাইটগুলো দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট হয়ে পড়েছে। এতে গাড়ি চালকদের চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে, পথচারীরাও ছিনতাইয়ের কবলে পড়ছেন।’
পটিয়া থানার ওসি জায়েদ নূর বলেন, ‘মহাসড়কে স্ট্রিটলাইট বন্ধ থাকায় অপরাধীরা সুযোগ নিচ্ছে। লাইটগুলো চালু থাকলে পুলিশের কাজ করতেও সুবিধা হতো।’
চট্টগ্রাম দোহাজারি সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী জামাল উদ্দিন জানান, ‘৫ আগস্টের পর বেশিভাগ লাইট চুরি হয়ে গেছে। যতটুকু সম্ভব আমরা ঠিক করেছি, তবে বর্তমানে কোনো বরাদ্দ নেই। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে, দ্রুত লাইটগুলো মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
এম হেলাল উদ্দিন নিরব/এটিআর