Logo

সারাদেশ

শিমুলের সৌন্দর্যে বসন্তের নতুন সাজ

Icon

বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:২৩

শিমুলের সৌন্দর্যে বসন্তের নতুন সাজ

শীতের বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রকৃতি সেজেছে বসন্তের রঙে। চারদিকে রোদ ঝলমলে দিন, বাতাসে ভাসছে কোকিলের কুহুতান, গাছে গাছে নতুন পত্রপল্লবের বাহার। বসন্তের এই শুরুলগ্নেই দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার প্রকৃতিতে চোখ রাঙাচ্ছে শিমুল ও পলাশ। তবে কালের বিবর্তনে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী শিমুল গাছের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে, যা প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য উদ্বেগের বিষয় হয়ে উঠেছে।  

সরেজমিনে উপজেলার প্রধান সড়কের হাটখোলা, বলাকা মোড়, বিষ্ণু মন্দির ও মহানাম যজ্ঞানুষ্ঠান প্রাঙ্গণে কিছু শিমুল এবং পলাশ গাছের শোভা চোখে পড়ছে। তবে শিবরামপুর, পলাশবাড়ী, শতগ্রাম, পাল্টাপুর, সুজালপুর, নিজপাড়া, মোহাম্মদপুর, ভোগনগর, সাতোর, মোহনপুর ও মরিচা ইউনিয়নের গ্রামাঞ্চলে হাতে গোনা কয়েকটি শিমুল গাছ ছাড়া তেমন গাছের দেখা মিলছে না। 

একসময় শিমুল গাছ বাংলার প্রকৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল। গ্রামবাংলার পথে-প্রান্তরে বসন্ত এলেই লাল শিমুল ফুলের বাহার দেখা যেত। কিন্তু বর্তমানে আধুনিকতার ছোঁয়ায় বীরগঞ্জ উপজেলায় শিমুল গাছের সংখ্যা কমে গেছে। এখন আর কেউ শিমুল গাছ রোপণ করে না। ফলে প্রকৃতি থেকে এই ঐতিহ্য হারিয়ে যেতে বসেছে।

বীরগঞ্জ সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক প্রশান্ত কুমার সেন বলেন, ‘বসন্ত মানেই শিমুল ও পলাশ ফুলের আগুনরাঙা সৌন্দর্য। এবারের বসন্তে বীরগঞ্জের কিছু শিমুল গাছ নতুন রূপে সেজেছে। প্রকৃতির এই রঙিন পরিবর্তন হৃদয়ে ব্যাকুলতা সৃষ্টি করে। কবি নির্মলেন্দু গুণও তার কবিতায় শিমুলের সৌন্দর্য তুলে ধরেছেন।’ 

উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. মনজুরুল ইসলাম মনজু বলেন, ‘শিমুল ফুল না ফুটলে যেন বসন্ত আসে না। আমাদের ভৌগলিক ও সাংস্কৃতিক পরিচয়ের সঙ্গে শিমুলের রয়েছে এক গভীর সম্পর্ক। ঋতুবৈচিত্র্যের এই সৌন্দর্য ধরে রাখার দায়িত্ব আমাদেরই।’  

শুধু সৌন্দর্যই নয়, শিমুল গাছের রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ঔষধি গুণ। একসময় বিষফোঁড়া নিরাময়, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করা কিংবা আখের গুড় তৈরিতে শিমুলের রস ব্যবহৃত হতো। কিন্তু বর্তমানে এসব ব্যবহার কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শিমুল গাছের প্রয়োজনীয়তাও হারিয়ে যাচ্ছে।  

প্রদীপ রায় জিতু/এটিআর


Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর