বাসে ডাকাতি মামলা নিতে দুই থানার ঠেলাঠেলি, ওসি প্রত্যাহার

নাটোর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২০:০৪
-67b887d52150a.jpg)
ছবি : বাংলাদেশের খবর
নাটোরের বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিরাজুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় রাজশাহী রেঞ্জের উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) মোহাম্মদ শাহজাহান মুঠোফোনে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, ঢাকার গাবতলী থেকে রাত ৮টার দিকে গত (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাজশাহীর উদ্দেশে রওনা হয় ইউনিক রোড রয়েলসের ‘আমরি ট্রাভেলস’ বাসটি। চন্দ্রা থেকে আরও তিনজন যাত্রী বাসে উঠে। কিছুদূর যাওয়ার পর সাত থেকে আটজন ডাকাত সদস্য অস্ত্রের মুখে বাসের নিয়ন্ত্রণ নেয়। এরপর রাত ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত বাসটি টাঙ্গাইলের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরতে থাকে। এ সময় অস্ত্রের মুখে যাত্রীদের সমস্ত মালামাল লুট করেন ডাকাত সদস্যরা। একপর্যায়ে তারা শ্লীলতাহানি করে দুই নারী যাত্রীর। এরপর পুনরায় বাসটি চন্দ্রার একটি তেল পাম্পে নিয়ে ডাকাতরা নেমে যায়।
পরে রাজশাহীর উদ্দেশে ছেড়ে নাটোরের বড়াইগ্রাম পৌঁছলে যাত্রীরা বাসটি আটকে দেয়। খবর পেয়ে বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ বাসচালক বাবলু, সুপারভাইজার মাহাবুব আলম ও সহকারী সুমন ইসলামকে আটক করে এবং বাসটি হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তবে ডাকাতির ঘটনা টাঙ্গাইল জেলায় সংঘটিত হওয়ায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে টাঙ্গাইলের পুলিশ বলে জানায় বড়াইগ্রামের ওসি।
এদিকে ঘটনার ৩ দিন পর চলন্ত বাসে ডাকাতি ও নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানির ঘটনায় টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানায় মামলা হয়েছে। নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার বাস যাত্রী ওমর আলী বাদী হয়ে শুক্রবার ভোরে মামলাটি করেন। মির্জাপুর থানার কর্তব্যরত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) খায়রুল বাসার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে ডিআইজি মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ‘সম্প্রতি ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় ডাকাতরা দুই নারী যাত্রীর শ্লীলতাহানি করেছে বলেও অভিযোগ করেছিলেন ভুক্তভোগীরা। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে ইউনিক রোড রয়েলসের ‘আমরি ট্রাভেলস’ নামের যাত্রীবাহী বাসে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে বলে গণমাধ্যমে জানতে পান।’
তিনি বলেন, ‘এই ঘটনায় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অন্ধকারে রেখে কিছু না জানিয়ে নিজের মত করে বিলম্ব করেছে বড়াইগ্রামের ওসি। মামলা নিতে বিলম্ব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবগত না করা এবং বিষয়টা যেখানে অল্পতে শেষ হতে পারতো, সেই বিষয়টাকে আরো জটিল করার কারণে আমরা মনে করেছি তার এখানে থাকার প্রয়োজন নেই। এ কারণে তাকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।’
মেহেদী হাসান তানিম/এমআই