রাজধানীর হাতিরঝিল থেকে ১৩ বছরের এক স্কুলছাত্রীর গলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে দক্ষিণখান থানা পুলিশ। ওই কিশোরীকে পাঁচজন মিলে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ শেষে হত্যা করে। পরে লাশ গুমের জন্য বস্তাবন্দি করে হাতিরঝিলে ফেলা হয়। 

এ ঘটনায় গ্রেপ্তার দুই যুবক এ পুলিশকে এসব তথ্য জানান। তারা হলেন- রবিন ও রাব্বি। রবিন পেশায় একজন গাড়িচালক। আর রাব্বি মৃধার বেকার।

রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সে দক্ষিণখানের একটি স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে পড়তো। মা-বাবার কাছে কেনাকাটার কথা বলে গত ১৬ জানুয়ারি বাইরে বেরিয়েছিল।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) রওনক জাহান।

গ্রেপ্তার দুই যুবকের বরাতে পুলিশ জানায়, ওই কিশোরীর সঙ্গে অনলাইনে পরিচয় হয় রবিনের। ওই কিশোরীকে মহাখালীর একটি ফ্ল্যাটে গত ১৬ জানুয়ারি ডেকে আনেন রবিন। এরপর রবিনসহ পাঁচজন হাত-পা বেঁধে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর ওই কিশোরীকে হত্যা করেন।

ডিসি রওনক জাহান বলেন, নিহত কিশোরী গত ১৬ জানুয়ারি কেনাকাটা করার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। ১৯ জানুয়ারি দক্ষিণখান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার বাবা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২৭ তারিখে একটি মামলা করেন নিহতের বাবা।

মামলার তদন্তে নেমে কিশোরীর মোবাইল ফোন নম্বরের সূত্র ধরে ৩০ জানুয়ারি রবিন নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রবিনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জিজ্ঞাসাবাদ করে রাব্বি মৃধা নামের আরও এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়।

দুজনকে গ্রেপ্তারের পর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করা হয়। দুই দিন রিমান্ডে নিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন আদালত। এরপর রবিন ও রাব্বিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।

তাদের বরাতে ডিসি রওনক জাহান আরও জানান, দুই যুবক পুলিশের কাছে স্বীকার করেন, পাঁচজন মিলে ওই কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেন। এতে তার মৃত্যু হলে মরদেহ হাতিরঝিলে ফেলে দেওয়া হয়। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই রোববার ওই কিশোরীর মরদেহ হাতিরঝিল থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

এদিকে, কিশোরীকে হত্যার দায় স্বীকার করে আজ সোমবার আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন রবিন ও রাব্বি মৃধা।

এনএমএম/ওএফ