রোহিঙ্গা শিশুদের সহায়তায় ৩৩ লাখ ডলার দেবে জাপান

বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫ মার্চ ২০২৫, ১৩:০২

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক প্রয়োজন মেটাতে ইউনিসেফ যে কার্যক্রম পরিচালনা করছে, তাতে সহায়তার জন্য জাপান সরকার আনুমানিক ৩৩ লাখ মার্কিন ডলার (প্রায় ৪০ কোটি বাংলাদেশি টাকা) বরাদ্দ করেছে। এ অনুদানের অর্থ দিয়ে ৪১ হাজার শিশুসহ বাংলাদেশে ৬৫ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীর কাছে সেবা পৌঁছে দেওয়া হবে।
কক্সবাজার ও নোয়াখালীর ভাসানচরে আশ্রয় শিবিরে থাকা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের শিক্ষা, ওয়াশ (পানি, পয়ঃনিষ্কাশন ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা), স্বাস্থ্য ও পুষ্টি সেবা দেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) ঢাকায় ইউনিসেফের কার্যালয়ে এ বিষয়ে জাপান ও ইউনিসেফ বাংলাদেশের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। জাপানের রাষ্ট্রদূত সাইদা শিনইচি ও ইউনিসেফের প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ার্স নিজ নিজ পক্ষে চুক্তিতে সই করেন।
এ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জাপানের রাষ্ট্রদূত সাইদা শিনইচি বলেন, ‘আমি ইউনিসেফের প্রচেষ্টার প্রশংসা করি। যারা রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পুষ্টি ও পানি, পয়ঃনিষ্কাশন ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার (ওয়াশ) মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোতে প্রতিটি শিশুর প্রয়োজন মেটাতে প্রত্যক্ষভাবে কাজ করে যাচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘জাপান থেকে ইউনিসেফের কাছে এ অনুদান এমন একটি সময়ে এসেছে, যখন রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তার জন্য তহবিল যোগাড় করা আবশ্যক হয়ে উঠেছে। জাপান এ মানবিক সংকটের টেকসই সমাধানের লক্ষ্যে কাজ চালিয়ে যাবে এবং ইউনিসেফসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।’
বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ার্স বলেন, ‘রোহিঙ্গা শিশুরা প্রতিদিন বহুবিধ সমস্যার সঙ্গে লড়াই করে চলেছে। শিক্ষায় তাদের প্রবেশাধিকার সীমিত; তারা সাংস্কৃতিক প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হয়। জনাকীর্ণ বসতিগুলোতে সব সময় পানিবাহিত রোগ, অপুষ্টি ও অপর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসেবার ঝুঁকিতে থাকে। অন্য যে কোনো শিশুর মতো শিক্ষা, সুস্বাস্থ্য, সুরক্ষা ও পরিপূর্ণভাবে বিকশিত হওয়ার যথাযথ সুযোগ পাওয়ার অধিকার তাদেরও রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ মুহূর্তে তাদের এটি অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। এসব অসহায় শিশুর জরুরি সেবাগুলো নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে জাপান সরকারের কাছ থেকে যে জোরালো সহায়তা এসেছে, তার জন্য আমরা কৃতজ্ঞতা জানাই। এ অংশীদারত্ব প্রতিটি শিশুর অধিকার ও মর্যাদার সুরক্ষায় আমাদের যে অভিন্ন অঙ্গীকার রয়েছে, তার সাক্ষ্য দেয়, তা সে শিশু যেখানেই থাকুক না কেন, সেটি কোনো বিষয় নয়।’
২০১৭ সালের আগস্ট থেকে চলমান এ জরুরি পরিস্থিতির শুরু থেকেই জাপান বাংলাদেশে রোহিঙ্গা মানবিক সংকট মোকাবিলায় গৃহীত কার্যক্রমের একটি উল্লেখযোগ্য সহযোগী।
এসআইবি/এমবি