২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট
ব্যক্তি পর্যায়ে করমুক্ত আয়ের সীমা ৪ লাখ টাকা করার সুপারিশ সিপিডির

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৫, ১৬:২৭

ছবি : সংগৃহীত
ব্যক্তি পর্যায়ে করমুক্ত আয়ের সীমা ৪ লাখ টাকা করার সুপারিশ করেছে সিপিডি।
রোববার (১৬ মার্চ) সিপিডির ধানমন্ডির কার্যালয়ে আগামী অর্থবছরের বাজেট সুপারিশকে কেন্দ্র করে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তুলে ধরেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন। এসময় সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান, গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম ও গবেষক মুনতাসীর কামাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে ব্যক্তি পর্যায়ে করমুক্ত আয়ের সীমা ৪ লাখ পর্যন্ত করার সুপারিশ করেছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। বর্তমানে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের বার্ষিক করমুক্ত আয়সীমা সাড়ে তিন লাখ টাকা আছে। যা আসন্ন ২০২৫-২৬ অর্থবছরে থেকে ৫০ হাজার টাকা বাড়ানোর কথা বলেছে সিপিডি।
সংবাদ সম্মেলনে ফাহমিদা খাতুন বলেন, জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী ছিল। খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতির তুলনায় খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার বেশি। এছাড়া, শহরের চেয়ে গ্রামে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার অনেক বেশি। সাধারণ মানুষ সঞ্চয় ভেঙে খাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানো যৌক্তিক বলে আমরা মনে করি। আগামী অর্থবছর এটি বাড়িয়ে ৪ লাখ টাকা নির্ধারণ করা উচিত।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক আগামী জুন শেষে মূল্যস্ফীতির হার ৭-৮ শতাংশে এ নামিয়ে আনার যে পরিকল্পনার কথা বলেছে, সেটি অর্জন করা অসম্ভব হবে। কারণ এটি বাস্তব সম্মত নয়। মূলত বোরো চাষ, সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি ও অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে হবে। আর বাস্তবায়ন গত কয়েক বছর ধরে সম্ভব হয়নি।
ফাহমিদা খাতুন বলেন, রাজস্ব নীতির অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমাতে হবে। পাশাপাশি ভ্যাট আদায়ে স্বচ্ছতা আনতে হবে। আর বন্ডের ওয়্যার হাউসের লাইসেন্স নবায়নে সময় বাড়াতে হবে। কোম্পানির অধীন থাকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, এনজিও এর মত অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের কর ও ভ্যাটে ছাড় দিতে হবে। সামাজিক সুরক্ষায় কর আদায়ে ছাড় দিতে হবে। এতে ন্যায্যতা মিলবে।
জুলাই বিপ্লবের বিষয়ে তিতি বলেন, যারা জুলাই-অগাস্টের গণঅভ্যুত্থানে ১৪ হাজার আহন এবং প্রায় ১৪ নিহতদের ক্ষতি পুরাণে বাজেটে অর্থ বরাদ্দ দিতে হবে। আহতের কারিগরি প্রশিক্ষণ এবং কর্মের ব্যবস্থা করতে হবে। নিহতের স্বজনদের জন্য কর্মমুখী বৃত্তিমূলক উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে। এছাড়া স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে। প্রাথমিক স্কুলে ফিডিং সর্বজনীন করা যেতে পারে। এছাড়া ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তার দিকে বাড়তি নজর দিতে হবে। সর্বোপরি অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ২০২৫–২৬ সালের জন্য সমন্বিত ও দূরদর্শী বাজেট প্রয়ণয়ন করতে হবে।
এএইচএস/এমএইচএস