মূল্য কমলেও ইইউ’তে ৫২ শতাংশ বেড়েছে পোশাক রপ্তানি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২২ মার্চ ২০২৫, ১২:৫৩

ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) পোশাক রপ্তানিতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন হয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ৫২ দশমিক ৫৬ শতাংশ বেড়ে ১৯৭ কোটি ৭৮ লাখ ডলারে পৌঁছেছে। যা ২০২৪ সালের একই সময়ে ছিল ১২৯ কোটি ৬৪ লাখ ডলার।
পোশাক খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ইউরোপে পোশাক রপ্তানির এই পরিসংখ্যান বাংলাদেশের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। তবে ইউনিট মূল্য কমে যাওয়ায় মুনাফা বজায় রাখার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে।
ইইউ’র পরিসংখ্যান অফিস ইউরোস্ট্যাটের প্রকাশিত তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২০২৪-এর তুলনায় ২০২৫-এর জানুয়ারিতে সামগ্রিকভাবেই ইউরোপের বাজারে পোশাক আমদানি বেড়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে জানুয়ারি মাসে পোশাক আমদানি হয়েছে ৮৫৭ কোটি ৬৫ লাখ ডলারের। যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৬৮৫ কোটি ৪৭ লাখ ডলারের। সেই হিসাবে প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ২৫ দশমিক ১২ শতাংশ।
ইউরোস্ট্যাটের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারিতে নিটওয়্যার রপ্তানি বেড়েছে ৬৪ দশমিক ২ শতাংশ এবং ওভেন পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৫৬ দশমিক ৩ শতাংশ। পরিমাণের দিক থেকে এই মাসে পোশাক রপ্তানি হয়েছে মোট ১ লাখ ২৬ হাজার ৮৬০ টন, যা আগের বছরের তুলনায় ৫৮ দশমিক ১ শতাংশ বেশি।
বিশ্লেষকদের মতে, বেশ কয়েকটি কারণ বাংলাদেশের এই প্রবৃদ্ধির পেছনে ভূমিকা রেখেছে। এর মধ্যে রয়েছে মূল্য সংযোজনযুক্ত পোশাক উৎপাদন, চীনের সঙ্গে চলমান শুল্কযুদ্ধের সুবিধা গ্রহণ, ইইউ বাজারে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার, আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং উদ্যোক্তা-শ্রমিকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা।
শিল্পের উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ বর্তমানে ইইউ’র দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক সরবরাহকারী দেশ। তবে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে নতুন নতুন বাজার খুঁজতে হবে। মূল্য সংযোজন বাড়াতে হবে, উৎপাদন ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। আগামী দিনে বাংলাদেশের পোশাক খাতের সম্ভাবনা বেশ উজ্জ্বল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বাংলাদেশের খবরকে বলেন, ‘ইইউতে এই প্রবৃদ্ধি রপ্তানিকারকদের জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক।’ তবে ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার আহ্বান জানান তিনি।
- এএইচএস/এমজে