-6801ebaf7c97c.jpg)
ঈদের পর থেকেই রাজধানীর বাজারগুলোতে সবজির দামে আগুন ঝরছে। বাজারে এখন এমন কোনো সবজি নেই যার দাম ৬০-৭০ টাকার নিচে। সবচেয়ে দামি সবজি কাঁকরোল—প্রতি কেজি ১৪০ টাকা! এ ছাড়া গোল বেগুন, ঝিঙা ও ধুন্দুলের কেজি শতক পেরিয়েছে।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীর মিরপুর, শান্তিনগর, মালিবাগ, সেগুনবাগিচা, কারওয়ান বাজার ও কাজিপাড়া এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সব ধরনের সবজির দাম বেড়ে গেছে। গত রমজানে কম দামে স্বস্তি পেলেও এখন ক্রেতাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ।
আজকের বাজারে প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা, শসা ৮০ টাকা, কাঁকরোল ১৪০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, উচ্ছা ৮০ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এ ছাড়া প্রতিকেজি ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৭০টাকায়, ধুন্দুল ১০০ টাকা, ঝিঙা ১০০ টাকা, বেগুন (গোল) ১০০ টাকা, বেগুন (লম্বা) ৮০ টাকা, পটল ৭০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১০০ টাকা, পেঁপে কেজি ৬০ টাকা , জালি প্রতি পিস ৫০ টাকা, লাউ ৬০ টাকা, কাঁচা কলা প্রতি হালি ৪০ টাকা, লেবু মানভেদে প্রতি হালি ২০ থেকে ৩০ টাকা, আলু প্রতি কেজি ৩৫ টাকা এবং গাজর প্রতি কেজি ৬০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।
সকালে মিরপুর-৬ কাঁচাবাজারে আসা এক মাদরাসার পরিচালক বলেন, এত দাম দিয়ে সবজি কিনে খাওয়া কঠিন। সরকার যদি তদারকি না করে, তাহলে ব্যবসায়ীরা যেমন খুশি তেমন দাম নেবে। সবচেয়ে বেশি দাম দেখলাম কাঁকরোল আর বেগুনের।
মিরপুর-৭ কাঁচাবাজারে আসা আরেক ক্রেতা দিলদার হোসেন বলেন, ঈদের পর থেকে বাজারে কোনো স্বস্তি নেই। প্রতিদিনই দাম বাড়ছে। এখন ৭০ টাকার নিচে কিছুই নেই। সাধারণ মানুষ কীভাবে চলবে?
একই বাজারের ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, মৌসুম শেষ হয়ে যাওয়ায় বাজারে সরবরাহ কম। এই সময়টায় এমন দাম হতেই পারে। নতুন সবজি উঠলে আবার কমে আসবে।
এ দিকে কারওয়ান বাজারের এক আড়ৎ ব্যবসায়ী বলেন, আমাদের বাজারে সবজির দাম তুলনামূলক কম। অন্য বাজারে পরিবহন খরচ, দোকান ভাড়া, শ্রমিক খরচ সব যোগ করে দাম কিছুটা বাড়ছে। নতুন সবজি উঠলে দাম কিছুটা কমতে পারে।
ক্রেতারা বলছেন, সরকারের পক্ষ থেকে বাজারে মনিটরিং জোরদার না হলে সাধারণ মানুষের ওপর চাপ আরও বাড়বে। বিশেষ করে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষ খাবারের খরচ মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে।
ঈদের পর মৌসুম পরিবর্তনের সময় বাজারে এমন পরিস্থিতি প্রায়ই দেখা যায়। তবে এবার সবজির দাম একসঙ্গে এতটা বাড়ায় জনমনে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। বাজারে পণ্য সরবরাহ স্বাভাবিক হলে দাম কিছুটা কমবে বলে আশা করছেন বিক্রেতারা।
- ডিআর/এটিআর