রিহ্যাব মেলায় শেষ দিনে ভিড়, ৪০৩ কোটি টাকার বিক্রি-বুকিং
বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৫০
রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব) আয়োজিত আবাসন মেলার শেষ দিনে ভিড় বেড়েছে ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের। পাঁচ দিনের মেলায় শুক্রবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৪০৩ কোটি ১২ লাখ ৭৪ হাজার টাকার ফ্ল্যাট, প্লট ও বাণিজ্যিক স্পেস বিক্রি ও বুকিং হয়েছে বলে জানিয়েছে রিহ্যাব।
পাঁচ দিনব্যাপী এই মেলার শেষ দিন ছিল শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর)। ছুটির দিন হওয়ায় আগের চার দিনের চেয়ে মানুষের সমাগম বেশি ছিল।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মেলায় আগত ক্রেতা–দর্শনার্থীরা বিভিন্ন স্টল ঘুরে পছন্দের ফ্ল্যাট-প্লটের খোঁজ নিচ্ছেন। ফ্ল্যাট বা প্লট পছন্দ হলে কেউ কেউ তাৎক্ষণিকভাবে বুকিং দিচ্ছেন। যদিও অধিকাংশ মানুষ খোঁজ নিচ্ছেন ভবিষ্যতে কেনার আশায়। বিপরীতে আবাসন প্রতিষ্ঠানগুলোও প্লট-ফ্ল্যাট বুকিংয়ে বিভিন্ন অফারের মাধ্যমে ক্রেতা টানার চেষ্টা করছে।
আবাসন কোম্পানির কর্মকর্তারা জানান, তাদের স্টলগুলোয় আগত ব্যক্তিদের অনেকেই আবাসন প্রকল্পের খোঁজ নিতে মেলায় আসেন। প্লট পছন্দ হলে অনেকে আবার বুকিংও করছেন।
মেলায় আসা কয়েকজন জানান, নিরাপত্তা ও লোকেশনের কথা বিবেচনা করে প্লট কিংবা অ্যাপার্টমেন্ট কিনবেন। এ বছর প্লটের দাম কিছুটা বেশি। মেলা উপলক্ষে অনেক আবাসন কোম্পানি ছাড়ের ব্যবস্থা রেখেছে।
এ বছর মেলায় অংশগ্রহণ করেছে মাগুরা গ্রুপের বাংলাদেশ ডেভেলপেমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড। মেলা উপলক্ষে বিশেষ ছাড়ও রেখেছে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রতিষ্ঠানটি জানায়, প্লট বুকিং দিলেই কাঠাপ্রতি এক লাখ টাকা ছাড় ও অতিরিক্ত উপহার হিসেবে থাকছে আইফোন ১৪ প্রো-ম্যাক্স। রাজধানীর চারদিকে চারটি প্রকল্প রয়েছে এই আবাসন কোম্পানির। সেগুলো হলো- কাঁচপুর-মদনপুরে ইস্ট টাউন, হেমায়েতপুর-বিন্না ডাঙ্গীতে ওয়েস্ট টাউন, টঙ্গী-শুটিয়ায় নর্থ টাউন ও কেরানীগঞ্জ-মাওয়া সড়ক সংলগ্ন সাউথ টাউন।
উল্লেখ্য, রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) পাঁচ দিনব্যাপী আবাসন মেলা গত সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শুরু হয়ে চলে শুক্রবার পর্যন্ত।
রিহ্যাব এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, শুক্রবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত মেলায় ৪০৩ কোটি ১২ লাখ ৭৪ হাজার টাকার ফ্ল্যাট, প্লট ও বাণিজ্যিক স্পেস বিক্রি ও বুকিং হয়েছে। এর মধ্যে ফ্ল্যাট বিক্রি ও বুকিং হয়েছে ২৩০ কোটি টাকার। আর ৯৬ কোটি টাকার প্লট এবং ৭৭ কোটি ১২ লাখ ৭৪ হাজার টাকার বাণিজ্যিক জায়গা বুকিং ও বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া গৃহঋণ পেতে মেলা প্রাঙ্গণে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে প্রায় ১ হাজার ৯০ কোটি টাকা ঋণের জন্য আলোচনা করেন ক্রেতারা।
২০২২ সালের আবাসন মেলায় ৩৫১ কোটি ১৬ লাখ টাকার ফ্ল্যাট, প্লট ও বাণিজ্যিক স্পেস বিক্রি ও বুকিং হয়েছিল। সেই হিসাবে এবার বিক্রি ও বুকিং বেড়েছে প্রায় ৫২ কোটি টাকা।
জাতীয় নির্বাচনের কারণে গত বছর আবাসন মেলা হয়নি। দুই বছর পর গত ২৩ ডিসেম্বর এই মেলা শুরু হয়। পাঁচ দিনের এই মেলায় ১৭০টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। এর মধ্যে দেড় শটিই আবাসন প্রতিষ্ঠান।
এনকেবি/ওএফ/এনআর/