দুবাইয়ে সম্পদ বিক্রি করছেন বাংলাদেশিরা

বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:২৩

দেশের পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে দুবাইতে গোপনে গড়ে তোলা বিশাল সম্পদ ঝুঁকিতে পড়ার আশঙ্কায় বাংলাদেশিরা সম্পদ বিক্রি করে দিচ্ছেন। ইতোমধ্যে বিভিন্ন প্রপার্টি কেনাবেচার ওয়েবসাইটে এসব সম্পত্তির বিজ্ঞাপনও দেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মানি লন্ডারিংয়ের ও অর্থপাচার রোধে গঠিত তদন্ত সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) বিষয়টি তদন্ত করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) জানিয়েছে। এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শও দিয়েছে তারা।
সরকারি সংস্থাগুলোর মতে, বাংলাদেশের পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে অনেকেই বিদেশে থাকা সম্পদ ঝুঁকিতে পড়ার আশঙ্কা করছেন, যার ফলে বিক্রির প্রবণতা বেড়েছে। কেউ কেউ আবার এসব সম্পদ আয়কর ফাইলে অন্তর্ভুক্ত করতে এনবিআরের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।
গত জানুয়ারিতে এনবিআরের গোয়েন্দা দল দুবাই সফর করে বাংলাদেশিদের মালিকানাধীন বেশ কিছু সম্পদ শনাক্ত করেছে। এসব ব্যক্তির শুধু দুবাই নয়, যুক্তরাজ্য, কানাডা, সিঙ্গাপুরসহ অন্যান্য দেশেও সম্পদ রয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, বিদেশে গড়ে ওঠা এসব সম্পদের মধ্যে মানি লন্ডারিংয়ের উপাদান থাকতে পারে। তাই শুধুমাত্র আয়কর আদায় নয়, মানি লন্ডারিং আইনে তদন্ত ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড ডিফেন্স স্টাডিজের তথ্য অনুযায়ী, দুবাইয়ে ৪৬১ বাংলাদেশির নামে ৯২৯টি সম্পত্তির বাজারমূল্য প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা। এসব সম্পদের মালিকদের মধ্যে রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, ব্যাংকার ও আমলাদের নাম রয়েছে। অর্থ পাচার ঠেকাতে সরকার নানান উদ্যোগ নিলেও তা কতটা সফল হবে, তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহলে প্রশ্ন রয়েছে।
এএইচএস/এটিআর