ওয়াশিংটন ডিসিতে ‘আমরা নারী’র সভাপতিকে হয়রানির প্রতিবাদে আইনি নোটিশ

নিউইয়র্ক প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৮ মার্চ ২০২৫, ১৩:৪৬

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে চব্বিশের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের প্রসঙ্গ টানায় প্রতিবাদকারী ‘আমরা নারী’ সংগঠনের সভাপতি মোহসিনা রিমি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি আয়োজক সংগঠন ডিসি একুশে এলায়েন্সের সমন্বয়কারী ও ধ্রুপদ ইনকের সভাপতি হিরন চৌধুরী রিমিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জবাব দিতে একটি নোটিশ পাঠান। এর পরিপ্রেক্ষিতে রিমি পাল্টা আইনি নোটিশ পাঠান, যেখানে আয়োজক সংগঠনের পক্ষ থেকে তাকে হয়রানির অভিযোগ তোলা হয়েছে।
এ ঘটনা ২২ ফেব্রুয়ারি ঘটে। তখন ওয়াশিংটন ডিসির বাংলাদেশ দূতাবাসের উপ-রাষ্ট্রদূত ডিএম সালাউদ্দীন মাহমুদ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। তার বক্তব্যে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের প্রসঙ্গ টানার পাশাপাশি তিনি ২০২৪ সালের রাজনৈতিক পরিস্থিতির আলোচনা শুরু করেন। এতে উপস্থিত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা প্রতিবাদ জানালে অনুষ্ঠান বিঘ্নিত হয়। বিশেষত, মেট্রো ওয়াশিংটন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহসিনা জান্নাত রিমির প্রতিবাদের কারণে বক্তা মঞ্চ ছেড়ে চলে যান।
এ ঘটনার চার দিন পর আয়োজক সংগঠনের পক্ষ থেকে রিমিকে ‘কারণ দর্শানোর নোটিশ’ দেওয়া হয়, যার বিরুদ্ধে রিমি আইনি পদক্ষেপ নেন। আইনি নোটিশে রিমির আইনজীবী বেনজামিন আর ইনম্যান দাবি করেছেন, আয়োজক সংগঠনের সমন্বয়কারী হিরন চৌধুরী তার ক্ষমতার সীমা অতিক্রম করেছেন। ডিসিইএ-এর নির্দেশিকার (Operating Guidelines) লঙ্ঘন করেছেন।
আইনি নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয়, ডিসিইএ একটি অনিবন্ধিত প্ল্যাটফর্ম। ২০২৪ সালে ডিসিইএ-এর কাঠামো অনুযায়ী হিরন চৌধুরী আর সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন না। রিমির আইনজীবী অভিযোগ করেছেন, হিরন চৌধুরী নিজে সমন্বয়কারী হিসেবে পদে থাকার জন্য অনৈতিকভাবে নিজেকে ধরে রেখেছেন এবং বেশ কয়েকটি নিয়ম লঙ্ঘন করেছেন।
এ ছাড়া ২৭ ফেব্রুয়ারি পাঠানো ‘কারণ দর্শানো নোটিশে’ কোনো স্পষ্ট বিধির উল্লেখ না করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেওয়াও আইনি দৃষ্টিতে প্রশ্নবিদ্ধ বলে দাবি করা হয়েছে। রিমির আইনি দল আরও বলেন, ‘ডিসিইএ-এর সদস্যরা ২০২৪ সালের রাজনৈতিক বিষয় এড়িয়ে চলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, কিন্তু আয়োজক সংগঠনের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক বিষয় উত্থাপন করা হয়, যা দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিবাদের সৃষ্টি করে।’
রিমি ও তার আইনি দল দাবি করেছেন, এই অনিয়মগুলোয় সংশ্লিষ্টদের পদত্যাগ করা উচিত। নতুন নির্বাচন হওয়া উচিত। যাতে এ ধরনের পরিস্থিতি ভবিষ্যতে আর না ঘটে।
কেই/এমজে