
সংযুক্ত আরব আমিরাতে রমজান মাসে প্রতিদিন অনুষ্ঠিত হয় বর্ণাঢ্য ইফতার উৎসব। বিশেষ করে দুবাইয়ের আল-সালাম মসজিদে প্রতিদিন তিন হাজারেরও বেশি মানুষ একসঙ্গে ইফতার করেন, যেখানে মুসলমানদের পাশাপাশি অংশ নিচ্ছেন অমুসলিমরাও। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এই উন্মুক্ত ইফতার আয়োজন সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য ও সহাবস্থানের অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে।
দুবাই চ্যারিটি অ্যাসোসিয়েশনের ব্যবস্থাপনায় প্রতিদিন বিকেল চারটা থেকেই শুরু হয় ইফতার প্রস্তুতি। মসজিদের সামনের বিশাল প্রাঙ্গণে বিছানো হয় দীর্ঘ প্লাস্টিকের শিট, যেখানে থরে থরে সাজিয়ে রাখা হয় ইফতার সামগ্রী। সাধারণত ইফতারের খাবারে থাকে খেজুর, ফল, সালাদ, বিরিয়ানি, লেবানআপ ও পানীয়। স্বেচ্ছাসেবকদের নিরলস পরিশ্রমে বিশাল এই আয়োজন প্রতিদিন নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়।
ইফতারের সময় মসজিদের মাইকে আজান ধ্বনিত হলে মুসলিমদের পাশাপাশি অন্যান্য ধর্ম-বিশ্বাসের মানুষও একসঙ্গে ইফতার করেন। এতে পারস্পরিক বোঝাপড়া ও সামাজিক সংহতি আরও দৃঢ় হচ্ছে।
ইফতারে অংশ নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন লেবার ক্যাম্পের বাসিন্দা মফিজ মিয়া। তিনি বলেন, ইফতার আয়োজনে আসার পর আমাদের উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। সবার সঙ্গে খুবই মর্যাদাপূর্ণ আচরণ করা হয়। এত বড় পরিবেশে ইফতার করার অভিজ্ঞতা এবারই প্রথম।
এই আয়োজন শুধু রোজাদারদের জন্যই নয়, বরং বৈচিত্র্যময় সমাজে সহাবস্থানের ইতিবাচক বার্তা ছড়িয়ে দিচ্ছে। ইফতার অনুষ্ঠানটি সবার মাঝে ভ্রাতৃত্ব, মানবতা ও সহমর্মিতার চেতনা জাগিয়ে তুলছে, যা বিশ্বব্যাপী শান্তি ও ঐক্যের অনুপ্রেরণা হয়ে উঠতে পারে।