ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট সামিট
ড. ইউনূসের দুবাই সফর, আশায় বুক বাঁধছেন বাঙালিরা

কে এম জাহেদ, দুবাই
প্রকাশ: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:৫৭

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস দুবাই সফরে আসছেন মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি)। ইতোমধ্যে তার এই সফর নিয়ে প্রবাসীদের মধ্যে প্রত্যাশার পারদ ক্রমেই বাড়ছে। সরকার প্রধানের এ সফরের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা বাংলাদেশের অন্যতম শ্রমবাজারটি খুলতে পারে, এমন আশায় বুক বাঁধছেন প্রবাসী বাঙালিরা। বিশেষ করে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে সফরটি নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা।
সফরে কী পেতে যাচ্ছে নতুন বাংলাদেশ, বন্ধ শ্রমবাজার কি আবার খুলতে পারবে? নানা প্রশ্ন প্রবাসীদের মনে।
দুবাই প্রবাসী ব্যবসায়ী মুহাম্মদ হাবিবউল্লাহ বলেন, দীর্ঘদিনের সাধারণ শ্রমিক ও শিক্ষিত শ্রেণির মানুষেরও আশা, এবার যেন বন্ধ শ্রমবাজারটি খুলে যায়। তাহলে দেশ থেকে প্রচুরসংখ্যক মানুষের দুবাইয়ে কর্মসংস্থান হবে। সেইসঙ্গে প্রবাসী ১০ লাখ বাংলাদেশির নিজ কর্মস্থল বদলানোসহ অন্যান্য সমস্যারও সমাধান হবে।
তিনি বলেন, দুবাই আমাদের এতো বড় একটি শ্রমবাজার। অথচ গেল সরকার এখানকার ভিসা বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টিকে কখনোই আমলে নেয়নি। শুধুমাত্র আশার বাণী শুনেছি। প্রধান উপদেষ্টার দুবাইয়ে আসা হবে বহু কাঙ্ক্ষিত একটি সফর। দুবাই প্রবাসী ১০ লাখ বাংলাদেশি যাতে ভালো থাকে, এটি যেমন চাই, তেমনি আরও বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশি এখানে চাকরি পাবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
দুবাই প্রবাসী ব্যবসায়ী মুহাম্মদ শাহরিয়ার আহমেদ শিহাব বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ড. ইউনূস বিদ্যমান ভিসা জটিলতা নিরসন ছাড়াও বাণিজ্যিক সম্পর্ক সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন বলে আশা করছি। ভিসা জটিলতার কারণে ভিনদেশি শ্রমিক দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করতে হচ্ছে। শ্রমিক ভিসার সমাধান করা গেলে রেমিট্যান্স আরও বাড়বে। আমাদের আশা, বৈঠকে তিনি বাংলাদেশিদের ভিসা জটিলতা জোরালোভাবে তুলে ধরবেন এবং সমাধানের উদ্যোগ নেবেন।
১১ থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি দুবাইয়ে ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট সামিট ২০২৫ অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানিয়ে আমিরাতের উপরাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী এবং দুবাইয়ের শাসক আমির শাইখ মুহাম্মাদ বিন রাশিদ আল মাখতুম গত ১৩ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টাকে একটি আমন্ত্রণপত্র পাঠান। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান উপদেষ্টা ওই সম্মেলন অংশগ্রহণ করবেন মর্মে সম্মতি প্রদান করেন।
ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট সামিটে বিশ্বের অন্তত ৩০ দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান অংশ নেবেন। ৮০টির বেশি আন্তর্জাতিক সংস্থা, ১৪০টি সরকারি প্রতিনিধি দল, ৬ হাজারের বেশি অংশগ্রহণকারী ও শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত থাকবেন। এতে বিশ্বনেতারা প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য, মিডিয়া, বিমান চলাচল, পরিবহন, পর্যটনসহ গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক খাতের ওপর আলোচনা করবেন।
কেএমজে/এমজে