Logo

ফিচার

রোজা না রাখলে জেল-জরিমানা

Icon

ফিচার ডেস্ক

প্রকাশ: ০৪ মার্চ ২০২৫, ১৪:২১

রোজা না রাখলে জেল-জরিমানা

ছবি : সংগৃহীত

সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহারসহ যাবতীয় ভোগ-বিলাস থেকে বিরত থাকার নাম রোজা। ইসলামী বিধান অনুসারে, প্রতিটি প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানের জন্য এটি ফরজ। তবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রোজা রাখা ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত হলেও নাইজেরিয়ার কিছু প্রদেশে এটি বাধ্যতামূলক।  

দেশটির কানো প্রদেশে রমজান মাসে রোজা না রাখলে মুসলমানদের গ্রেপ্তার করা হয়। সেখানে ‘হিসবাহ’ নামে পরিচিত ইসলামিক পুলিশ নিয়মিত তল্লাশি চালিয়ে রোজা না রাখা ব্যক্তিদের আটক করছে।  

গত সোমবার (৩ মার্চ) অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে ইসলামিক পুলিশ। মূলত (রোজার মাসে) দিনের বেলা জনসম্মুখে খাবার খেতে দেখার পর তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া খাবার বিক্রির দায়েও কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। খবর বিবিসির।

হিসবাহের ডেপুটি কমান্ডার মুজাহিদ আমিনুদিন বিবিসিকে বলেছেন, রোজা না রাখার জন্য ২০ জনকে এবং খাবার বিক্রির জন্য আরও পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার থেকে শুরু হওয়া এই অভিযান পুরো মাস জুড়ে চলবে বলেও জানান তিনি।

শরিয়াহ আইন অনুসারে কঠোর নিয়ম
নাইজেরিয়া একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ হলেও দেশটির ১২টি প্রদেশে শরিয়াহ আইন কার্যকর রয়েছে। এসব অঞ্চলে মুসলমানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ কানো প্রদেশও এর অন্তর্ভুক্ত। তাই কানোতে রমজানে খাবার বিক্রি বা খাওয়ার অভিযোগে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়।  

অমুসলিমরা এই আইনের আওতার বাইরে
হিসবাহ বাহিনীর মুখপাত্র জানিয়েছেন, এই অভিযান শুধু মুসলমানদের জন্য। অমুসলিমরা এর আওতার বাইরে থাকবেন। যারা মুসলমান হয়েও দিনের বেলা প্রকাশ্যে খাবার খান বা বিক্রি করেন, তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।  

এর আগে, গত বছরও রোজা না রাখার জন্য মুসলিমদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। পরে গ্রেপ্তারকৃতদের রোজা রাখার প্রতিশ্রুতি আদায় করে মুক্তি দেওয়া হয়। এমনকি তাদের কয়েকজনের অভিভাবকদের ডেকে রোজা রাখার বিষয়ে নজরদারি করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল।

এটিআর/

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর