
ছবি : সংগৃহীত
তেলাপোকার দুধের কথা শুনেই অস্বস্তি বোধ করতেই পারেন। তেলাপোকারও দুধ হয় নাকি? এ দুধ কি খাওয়াও যায়?এমন অনেক প্রশ্ন আসতে পারে আপনার মাথায়। কিন্তু গবেষণায় জানা গেছে, তেলাপোকার দুধ পুষ্টিগুণে ভরপুর এবং এটি একটি পূর্ণাঙ্গ প্রোটিন উৎস।
সাধারণত তেলাপোকার ডিম ফুটে বাচ্চা বেরোতেই দেখা যায়। তবে এর এক প্রকার বিশেষ প্রজাতি আছে যা বাচ্চা প্রসব করে। আর শিশু তেলাপোকার পুষ্টির চাহিদা মেটে মা তেলাপোকার দুধে। মা তেলাপোকার দেহ থেকে নিঃসৃত এই দুধ ক্রিস্টাল বা স্ফটিকের আকার ধারণ করে। সম্প্রতি, বিজ্ঞানীরা এই দুধ নিয়ে গবেষণা করছে।
তেলাপোকার দুধ সুপারফুড হিসেবে পরিচিত। কেননা এতে রয়েছে প্রোটিন বা আমিষ, শর্করা, স্নেহ পদার্থ, কিছু ভিটামিন ও খনিজ উপাদান। এই দুধে যে আমিষ আছে, তাতে মানুষের জন্য অত্যাবশ্যকীয় ৯টি অ্যামাইনো অ্যাসিড পাওয়া যায়। এমনকি মানবদেহের জন্য উপকারী ফ্যাটি অ্যাসিড আছে এতে।
তবে এই দুধ সংগ্রহ করা কষ্টসাধ্য ব্যাপার। ১০০ গ্রাম দুধ তৈরি করতে ১ হাজারেরও বেশি তেলাপোকাকে হত্যা করতে হবে। মানুষের জন্য এই খাবারের জোগান দিতে হলে প্রয়োজন প্রচুর তেলাপোকার। কেবল এক গ্লাস দুধের জন্য হাজার হাজার তেলাপোকার হত্যা করতে হবে। যা পরবর্তিতে পরিবেশের জন্য হুমকির কারণ হতে পারে।
কিন্তু এখন প্রশ্ন হল মানুষের জন্য কতটা নিরাপদ তেলাপোকার দুধ? এই দুধে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালরি। নিয়মিত এই দুধ পান করলে ওজন বাড়ার ঝুঁকি আছে। বিজ্ঞানীরা এখনও এর নিরাপত্তা নিয়ে নিশ্চিত না।
টিএ