-67d682d4f152e.jpg)
ছবি : সংগৃহীত
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর অনেক প্রিয় খাবারের মধ্যে অন্যতম হল তালবিনা। তালবিনার রয়েছে বহু উপকারিতা যা গুণে শেষ করা যাবে না।
এটি এমন একটি খাবার যা আপনার বিষণ্নতা দূর করতে,রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে,বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করতে, রক্তের উপাদান নিয়ন্ত্রণ করতে, হজম বৃদ্ধি করতে, ওজন ও হাড়ের গঠন নিয়ন্ত্রণ করতে, পেটের সমস্যা দূর করতে, বিভিন্ন রোগ যেমন টাইপ ২ ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, প্রতিরোধ করতে এবং হার্ট সুস্থ রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
এতো সব উপকারিতা পেতে পারেন শুধু একটি খাবার খাওয়ার মাধ্যমে। তালবিনা সম্পর্কে আয়েশা (রা.) রোগীকে এবং কারো মৃত্যুজনিত শোকাহত ব্যক্তিকে তালবিনা খাওয়ানোর আদেশ করতেন। তিনি বলতেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, তালবিনা রোগীর কলিজা মজবুত করে এবং দুশ্চিন্তা দূর করে। (বুখারি: ৫৬৮৯, ৫৪১৭)
তাছাড়াও তালবিনার উপকারিতা সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ (সা.) আরো বলেছেন, তালবিনা রুগ্্ণ ব্যক্তির হৃদয়ে প্রশান্তি আনে এবং শোক-দুঃখ দূর করে। (বুখারি : ৫৪৯৭, মুসলিম : ২২১৬)
তাই প্রাচীন কালের এই খাবার রাখতে পারেন ইফতারেও। তালবিনা যেভাবে তৈরি করবেন-
উপকরণ :
১। যবের ছাতু বা গুঁড়া
২। দুধ
৩। মধু
৪। অতিরিক্ত পুষ্টি বৃদ্ধিকারক উপাদান যেমন ঘি, কিশমিশ, বিভিন্ন বাদাম, খেজুর ইত্যাদি।
প্রস্তুত প্রণালি : প্রথমে পরিমাণ মত যবের ছাতু গরম আঁচে ভেজে নিতে হবে। এরপর ভাঁজা ছাতু বা গুঁড়ায় পরিমাণ মত দুধ ঢেলে তা রান্না করে নিতে হবে। মধ্যম আঁচে কিছুক্ষণ রান্না করলে তা বাদামি রং ধারণ করবে। এই সময় তাতে স্বাদমতো মধু দিয়ে যতক্ষণ পর্যন্ত মিশ্রণটি জাও বা ক্ষীরের মত না হয় ততক্ষণ জ্বাল দিতে হবে। এই সময় আপনি চাইলে স্বাদ ও পুষ্টি বৃদ্ধি করার জন্য ঘি, খেজুর, বাদাম, কিশমিশ ইত্যাদি দিতে পারবেন। তবে যবের ছাতুর সাথে দুধ ও মধু মেশানোর মাধ্যমেই তালবিনা তৈরি হয়ে গেছে।
টিএ